‘বার্লিন’ কি শুধু জার্মানিতেই?
জার্মানির রাজধানী, খোদ বার্লিনের বাসিন্দারা শুনলে হয়ত রাগ করবেন – কিন্তু নামটা তাদের একার নয়৷ সারা বিশ্বে ১০০টির বেশি শহর বা গ্রাম-গঞ্জ আছে, যেগুলোর নাম ‘বার্লিন’৷
সেন্ত্রো বার্লিন, বলিভিয়া
বলিভিয়ার এই গ্রামটির অধিবাসী সাকুল্যে দশজন৷ লামাদের লোম থেকে তৈরি মোজা, টুপি আর কোট পরে তারা নিজেদের গরম রাখেন৷ বলিভিয়ার বার্লিনবাসীরা আবার লামার মাংস খেতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে রোদ্দুরে শুকনো মাংস, যা নাকি রেফ্রিজারেটর ছাড়াই দু-তিন মাস রাখা যায়৷ আর সেইজন্যেই নাকি এখানকার মানুষরা ১১০ বছর অবধি বাঁচেন৷
বার্লিন, ওহাইও
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বার্লিন নামের শহর আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে – যেমন মিডওয়েস্টের ওহাইও রাজ্যে৷ আদত বার্লিন থেকে আসা দুই জার্মান মিলে শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন ১৮১৬ সালে৷ ওহাইও-র এই বার্লিন শহরের তিন হাজার অধিবাসীদের অনেকের বাড়িতে আজও বিদ্যুৎ, টেলিফোন বা ইন্টারনেট নেই – কেননা ওহাইও-র এই অংশটিতে আমিশ সম্প্রদায়ের মানুষদের বাস, যারা আধুনিক সভ্যতাকে প্রত্যাখ্যান করে থাকেন৷
বার্লিন, রাশিয়া
শহরটি দক্ষিণ রাশিয়ায়, কাজাখস্তানের সীমান্তের কাছে, কাজেই বিদেশিদের প্রবেশ নিষেধ – এখানে যেতে স্পেশাল পারমিট লাগে৷ এককালে কসাকরা এখানে রাশিয়ার হয়ে তাতারদের আক্রমণ ঠেকিয়েছে৷ অষ্টাদশ শতাব্দীতে রুশ সৈন্যরা পশ্চিম ইউরোপে ঢুকে বার্লিন অবধি যায় – যা থেকে ‘বার্লিন’ নামটি রাশিয়ার এই প্রত্যন্ত প্রদেশে এসে পৌঁছায়৷
বার্লিন, গিনি
পশ্চিম আফ্রিকার বার্লিন শহরটি উত্তর গিনিতে, মালি সীমান্তের কাছে৷ কিংবদন্তি অনুযায়ী, গিনির এক বাসিন্দা নাকি সুভেনির হিসেবে জার্মানির রাজধানী থেকে শহরটির নাম সাথে করে নিয়ে এসেছিল৷ গিনির বার্লিনে প্রায় সাড়ে তিনশ’ মানুষের বাস, যারা হয় কৃষিকাজ নয়তো মাটিতে সোনা খুঁজে দিন গুজরান করে৷
বার্লিন হার্বার, পাপুয়া নিউ গিনি
বার্লিন বন্দর নামটি ঔপনিবেশিক আমলের, কাজেই সেটা আজকাল আর বিশেষ ব্যবহার করা হয় না৷ ১৮৯৯ থেকে ১৯১৪ সাল অবধি পাপুয়া নিউ গিনির উপকূলের কয়েকটি দ্বীপ ছিল জার্মানির হাতে: উপনিবেশের শাসনকর্তারা একটি শহর ও দ্বীপটির নাম রাখেন ‘বার্লিনহার্বার’ বা বার্লিন হার্বার, অর্থাৎ বার্লিন বন্দর৷ আজ তাদের নাম হলো আইতাপে ও তুমলিও৷
প্রতিবেদন: আন্টিয়ে বিন্ডার/এসি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ