1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীর মৃত্যুর খবর ‘বানানো’?

২৮ জানুয়ারি ২০১৬

প্রচণ্ড শীতে অসুস্থ হয়ে পড়া এক শরণার্থীর মৃত্যুর খবরটিকে ‘বানানো' বলে দাবি করছে পুলিশ৷ তাদের দাবি, সম্ভাব্য সব স্থানে অনুসন্ধান করেও এমন মৃত্যুর হদিস পাওয়া যায়নি৷ তাছাড়া খবরের প্রচারকও স্বীকার করেছেন খবরটি বানানো ছিল৷

https://p.dw.com/p/1Hl7s
Deutschland Flüchtlingspolitik Familien-Nachzug syrische Flüchtlinge
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Kahnert

বার্লিনের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মোয়াবিট হিল্ফট'-এর এক স্বেচ্ছাসেবী প্রথমে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমেই জানিয়েছিলেন শরণার্থীদের নাম তালিকাভুক্ত করানোর কার্যালয় ‘লাগেসো'-র সামনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার ধকল সইতে না পেরে এক শরণার্থীর করুণ মৃত্যুবরণের কথা৷ স্বেচ্ছাসেবীর ভাষ্য অনুযায়ী, সিরিয়া থেকে আসা ওই শরণার্থী ‘লাগেসো'-র সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে শীতে কাবু হয়ে পড়েন৷ প্রচণ্ড সর্দি-কাশি শুরু হয়ে যায়৷ অবস্থার প্রচণ্ড অবনতি হওয়ায় ওই স্বেচ্ছাসেবীই নাকি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে অসুস্থ শরণার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পথেই ২৪ বছর বয়সি ওই শরণার্থী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷

ঘটনার সকরুণ বর্ণনা শেষে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাই ‘মোয়াবিট হিল্ফট'-এর স্বেচ্ছাসেবী প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘‘ওর কি এভাবে মারা যাওয়ার কথা ছিল? কেন এভাবে মৃত্যু হলো তাঁর? হয়ত আগে থেকে আমরা ওর জন্য কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিইনি বলেই...৷''

স্বেচ্ছাসেবীর এই বক্তব্য সংবাদমাধ্যমেও এসেছে৷ কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরুর পরই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে ফেলেছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী৷

এদিকে বার্লিনের পুলিশ শুরুতে খবরটি সত্য ধরে নিয়ে টুইট করলেও পরে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করেছে, খবরটি পুরোপুরি বানানো৷ তাদের দাবি, শহরের সব হাসপাতাল এবং অন্য সব সম্ভাব্য স্থানে অনুসন্ধান চালানোর পরও এমন কোনো মৃত্যুর খবরের সত্যতার প্রমান পাওয়া যায়নি৷ পুলিশের পক্ষ থেকে আরো দাবি করা হয়, শরণার্থীর মৃত্যুর খবরটি যিনি প্রচার করেছিলেন ‘মোয়াবিট হিল্ফট'-এর বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তিনিও স্বীকার করেছেন খবরটি মনগড়া ছিল৷

এদিকে শরণার্থীদের বিষয়ে খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সুইডেন৷ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্ডার্স উ্যগেমান জানিয়েছেন, সে দেশ থেকে ক্রমান্বয়ে ৬০ থেকে ৮০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো হবে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, অভিবাসনের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কারণেই তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে৷

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

পুলিশ বলছে শরণার্থীর মৃত্যুর খবর বানানো৷ আপনিও কি তাই মনে করেন? জানান মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান