বার্লিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন
২৯ মার্চ ২০১১কোনো দেশই বিপ্লব-সংগ্রাম-রক্তপাত ছাড়া স্বাধীন হয়নি৷ বাংলাদেশও নয়৷ দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ, রক্তক্ষয়, ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে পৃথিবীর মানচিত্রে আবির্ভাব হলো স্বাধীন বাংলাদেশের৷ বিজয়গর্বে উদ্দীপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর বৈশ্বিক-বলয়ে নানা কারণেই উল্লেখ্য৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা নয় কেবল, কিংবা নয় দারিদ্রবিমোচনে সাফল্য, সেইসঙ্গে, সাবলীল, স্বনির্ভর হওয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার৷
একথাই প্রত্যয়ের সঙ্গে শোনান বার্লিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান, স্বাধীনতার ৪০ বছর-পূর্তি উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায়, স্বাগতিক ভাষণে৷ ওঁর আশাবাদকে আন্তরিক সমর্থন জানান জার্মান পররাষ্ট্র সচিব মার্টিন বিসেল, তাঁর বক্তৃতায়৷ গত বছর নভেম্বরে বিসেল বাংলাদেশ সফর করেন৷ একথা ভাষণে উল্লেখ করে আরো বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতির সোপান তৈরি করছে, অবশ্যই শ্লাঘার৷ আমরা আনন্দিত৷ রাষ্ট্রদূত মান্নান এবং বিদেশ সচিব বিসেল, দুজনেই জানান,বাংলাদেশ এবং জার্মানির বন্ধুতা ক্রমশ নিবিড়, প্রগাঢ় হচ্ছে৷ অটুট থাকবে ভবিষ্যতেও৷
স্বাধীনতার ৪০ বছর উৎসবে পৃথিবীর নানাদেশের রাষ্ট্রদূতের সমাবেশ ছাড়াও জার্মানির নানা প্রান্তের বিশিষ্ট বাঙালির উপস্থিতি৷ যেমন মার্টিন-লুথার বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডক্টর রাহুল পেটার দাস৷ বাংলা সাহিত্যকে তিনি এশিয়ান বিভাগে পাঠ্যতালিকায় যুক্ত করেছেন৷ হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের ভাষা ও সাহিত্যের প্রধান প্রফেসর ডক্টর হান্স হার্ডার৷
সোমবার, ২৮ মার্চে, উৎসবানুষ্ঠান শুরুর আগে বাংলাদেশ এবং জার্মান জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে শোনানো হয়৷
রাষ্ট্রদূত ও বিদেশ সচিবের সংক্ষিপ্ত ভাষণের পরে মহানন্দে বিশাল কেক কাটার আয়োজন৷ কাটার ছুরিতে মসুদ এবং বিসেলের হাত৷ এবং আরো অনেকের৷ উৎসবে অন্যতম আকর্ষণ বাংলাদেশে হস্তশিল্পের প্রদর্শনী৷ সেরামিক শিল্পও বাদ যায়নি৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , আর হ্যাঁ, বাংলাদেশের রমনীকুলের পরনে বাহারি-শাড়ি৷ দুজন জার্মান নারীও পরেছেন৷ বলেন, ‘‘ইটস গ্রেট৷ লুকস বাংলাদেশি৷ বাট, উই আর হোয়াইট৷ ইয়েট, উই ডু ফিল, উই আর বাংলাদেশি৷''
ওঁরা বাংলাদেশে চারবার গিয়েছেন, প্রত্যেকবারই থেকেছেন মাসাধিক৷ বলেন, দেশটি হতদরিদ্র, কিন্তু মানুষের ভালোবাসায় আমরা ধনী৷ এই দেশকে ভালোবেসে আমরা গৌরাবান্বিত৷ তাই, বাংলাদেশের ৪০-স্বাধীনতা উৎসবে সামিল ৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন