1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে তৈরি ভুভুজেলা ফিল্টার

১৫ জুন ২০১০

বার্লিনের এক গায়ক এবং গিটারবাদক আবিষ্কার করছেন, টেলিভিশনে বিশ্বকাপের খেলা দেখার সময় ভুভুজেলার আওয়াজে কান ঝালাপালা হওয়া থেকে কি করে মুক্তি পাওয়া যায়৷

https://p.dw.com/p/Nqve
ছবি: M.i.S.-Sportpressefoto

টোবিয়াস হেরে পেশাদারী সঙ্গীতশিল্পী নন, সখের গানবাজনা করেন৷ বলতে কি, তিনি ফুটবলমোদী পর্যন্ত নন৷ কিন্তু তাঁর সাত বছরের ছেলে বিশ্বকাপের প্রতিটি খেলা দেখে৷ কাজেই বাবাকেও ছেলের সঙ্গে দেখতে – এবং ভুগতে হয়৷ ভুগতে ভুগতেই হেরে কি খেয়ালে উঠে গিয়ে গিটার টিউনিং-এর যন্ত্রটি এনে পরীক্ষা করে দেখলেন যে, ভুভুজেলার আওয়াজ পশ্চিমী পিয়ানো কি গিটারের ঠিক বি-মাইনর স্বরটির মতো৷

দ্বিতীয় প্রশ্ন

ঠিক ঐ স্বরটির ফ্রিকোয়েন্সিগুলি কীভাবে বাদ দেওয়া যায়৷ হেরে টেলিভিশন থেকে অডিও সিগনালগুলি তাঁর কম্প্যুটারে ঢোকালেন৷ সেখানে ভুভুজেলা ফ্রিকোয়েন্সিগুলি বাদ পড়ল৷ তারপর স্টিরিও সিস্টেমের সাউন্ডবক্সগুলি থেকে ভুভুজেলা মুক্ত আওয়াজ বেরতে লাগল: অর্থাৎ ফুটবল কমেন্টারি এবং স্টেডিয়ামের আওয়াজ৷

হেরে'র ধারণা ঠিকই

পদ্ধতিটা অন্তত জার্মানির টেলিভিশন কেন্দ্রগুলির অজ্ঞাত নয়৷ তবে তারা এখনও পর্যন্ত কোনো যন্ত্রের সন্ধান পায়নি, যা শুধু ভুভুজেলার আওয়াজটাই ফিল্টার করে বার করে নিতে পারে৷ সাধারণত তার সঙ্গে সঙ্গে ভাষ্যকারের গলার আওয়াজ ইত্যাদিও বিকৃত হয়৷ তবুও এআরডি এবং জেডডিএফ'এর মতো সরকারি টেলিভিশন সংস্থাগুলি যতদূর সম্ভব আওয়াজ ফিল্টার করছে এবং ভাষ্যকারদেরও বিশেষ ধরণের মাইক্রোফোন দিয়েছে৷

হেরে তাঁর অভিজ্ঞতা ইন্টারনেটে প্রকাশ করা মাত্র ওয়েবসাইটটি প্রায় ভেঙে পড়ে, গ্রাহকদের এমনই আগ্রহ৷ ওদিকে কার্লসরুয়ে'র একটি কোম্পানি নাকি ইতিমধ্যেই ঐ ধরণের একটি ফিল্টার বাজারে ছেড়েছে৷ তার ভিত্তি হল একটি নতুন সফটওয়্যার, যা দিয়ে একটি তৈরি মিউজিক-মিক্স থেকে গান কিংবা বাজনা আলাদা করে বার করে নেওয়া যায়৷

পুরো ব্যাপারটায় মুশকিল একটাই

হেরে নিজেই বলেছেন, ভুভুজেলা বাদ দিলে স্টেডিয়াম যেন কিরকম ভুতুড়ে রকম শান্ত হয়ে আসে! কেননা ফ্যানরা তো আসলে ভুভুজেলার অত্যাচারে নীরব৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন