1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাজির দেনা থেকে বাঁচতে মৃত্যুর অভিনয়!

২৭ মার্চ ২০১৮

বাজি ছিল দেড় লাখ টাকার৷ তা দিতে হবে এই ভয়ে রীতিমতো মৃত্যুর অভিনয়! এমনই বিস্ময়কর এক ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়৷

https://p.dw.com/p/2v3o3
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/E.Topcu

ঘটনার নায়ক ২৫ বছর বয়সি যুবক আদেল শিকদার৷ কাজ করেন ঢাকার একটি হোটেলে৷ বাড়ি সদরপুরের চরব্রাহ্মণদী গ্রামে৷ নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে দেড় লাখ টাকা বাজি ধরেছিলেন আদেল৷ কিন্তু বাজিতে হেরে যান তিনি৷ সেই টাকা যেন না দিতে হয়, সেজন্য বন্ধুদের নিয়ে এই ‘মৃত্যুর নাটক’ তৈরি করেন৷ 
পুলিশ পরে সত্য উদ্ঘাটন করে আদেলকে গ্রেফতার করে৷ পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. কামরুজ্জামান এএফপি ও স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, বন্ধুদের দিয়ে  এক গলাকাটার ভিডিও তৈরি করান আদেল, যেখানে রক্ত হিসেবে লাল জুস ব্যবহার করা হয়৷ সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং বেনামে পাওনাদারের কাছেও পাঠানো হয়৷ 
এমনকি ফরিদপুরে পরিবারের কাছে কণ্ঠ বদলে ফোন করেন আদেল৷ ফোনে তিনি বলেন, লাশ চট্টগ্রামে জিইসি মোড়ে এক জংলায় আছে৷ সেই ফোন পেয়ে পরিবারের একাধিক সদস্য চট্টগ্রামে যান৷ 
তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করে৷ আদেলের ভাই সাইদুল শিকদার ও কয়েকজন মিলে ভিডিওটি পুলিশকে দেখান৷ সেখান থেকে পুলিশ ইমরান নামে এফডিসির এক মেকআপ আর্টিস্টকে শনাক্ত করে৷ তাকে বেগুনবাড়ি বস্তি থেকে আটকও করা হয়৷ ইমরানই প্রথম জানান যে, বিষয়টি সাজানো ছিল৷ এরপর শনিবার রাতে আদেল বাড়িতে ফেরেন৷ খবর পেয়ে সদরপুর পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে৷ পরদিন ফরিদপুর থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়৷ জিজ্ঞাসাবাদে আদেল জানান, নিদাহাস ট্রফির সেমিফাইনালে বাজি ধরে তিনি ৪০ হাজার টাকা জিতেছিলেন৷ তাই পরে ফাইনালেও বাজি ধরেন দেড় লাখ টাকার৷ কিন্তু হেরে যাবার পরই টাকা যেন না দিতে হয়, তাই এই নাটক সাজানো হয়৷ 

জেডএ/এসিবি (এএফপি)
 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য