বাংলাদেশ বা ভারতে অ্যামেরিকার নির্বাচনের তেমন প্রভাব পড়বেনা বলে মনে করেন অনেক পাঠক৷ বাইডেনকে আগাম অভিনন্দন জানিয়েছে কেউ কেউ ৷
অ্যামেরিকার নির্বাচন নিয়ে কিছুক্ষণ আগে করা ডয়চে ভেলে থেকে প্রচারিত ফেসবুক লাইভ এবং প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে পাঠকেরা তাদের যে ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন তারই কিছু অংশ থাকছে এখানে৷
বাংলাদেশ থেকে পাঠক ফরহাদ অ্যামেরিকার ইলেকট্রোরাল কলেজ ভোট এর ব্যাপারে আরো বেশি কিছু জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ডয়চে ভেলের কাছ থেকে৷ আফ্রিকার ঘানা থেকে হোসেন আজাদ ডয়চে ভেলের ফেসবুক লাইভ দেখতে দেখতে অনুরোধ করেছেন, আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ঘানার নির্বাচন সম্পর্কে জানাতে৷ কারণ সেখানকার কয়েকটা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার পর তার ধারনা হয়েছে সে দেশের নির্বাচন খুবই স্বাভাবিক এবং সুস্থ৷ আর কাতার থেকে দর্শক আবদুল জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক লাইভে যুক্ত হতে পেরে তিনি অনেক খুশি৷
অ্যামেরিকার নির্বাচন সম্পর্কে ফেসবুক পাতায় পাঠক জাহিদ হাসান জাকির, শাহ আলম, বাবুল, মো.মামুন খালাসী, মো.জামাল, জসিম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন ট্রাম্পের বর্তমান অবস্থান নিয়ে ঠাট্টা করে নানা মন্তব্য করছেন৷ তাদের কেউ লিখেছেন ট্রাম্পের এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে অনুসরণ করা উচিত ছিলো আবার কেউবা মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগাযোগ বা পরামর্শ নিতে পারতেন৷ ট্রাম্প সিইসি নিয়োগ দিলে হয়তো আগের রাতে জিতে যেতেন ইত্যাদি৷
তাছাড়াও অ্যামেরিকান নির্বাচন নিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক লাইভ ভালো লেগেছে অনেকের কাছে৷ মো. ওমর ফারুক, সুমন চৌধুরী, মো.মোশারফ হোসেনসহ অনেকেই আগামীতেও এমনটাই আশা করেন ডয়চে ভেলের কাছ থেকে৷
এদিকে জো বাইডেনকে আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন পাঠক আজাদ হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান৷ আর এ প্রসঙ্গে পাঠক আতিকুল ইসলামের প্রশ্ন, বাইডেন যে সবার চেয়ে ভালো করবে তার কি কোনো গ্যারান্টি আছে? ডনাল্ড ট্রাম্প হেরে গেলেও বাংলাদশ বা ভারতে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়বেনা বলেই মনে করেন অনেক পাঠকের মতো ইকবাল দিপুও৷
‘নির্বাচন মানেই উত্তেজনা, আমেরিকার নির্বাচনে বাংলাদেশের মতো কোনো উত্তেজনা নাই, ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি নাই, পুলিশের লাঠিচার্জ নাই, এ কেমন নির্বাচন অ্যামেরিকায়?’ মজা করে লিখেছেন ফেসবুক পাতায় হাফিজুর রহমান হাফিজুল্লাহ৷
আর মোহাম্মদ শেখ জাহেদও খানিকটা রসিকতা করে মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্প হেরে গেলে সবাই বঞ্চিত হবে, মিস করবে একজন কমেডিয়ানকে!
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: খালেদ মুহিউদ্দীন