বাংলার অণুর চোখে দেখুন বিশ্ব
বাংলাদেশের পর্যটক তারেক অণুকে অনেকে ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে ‘মুছে’ দিতে চান৷ কারণ তাঁর বিশ্ব ঘোরার ছবি দেখে দেখে নাকি তাঁদের ‘হিংসা’ হয়! চলুন আমরা সেই অণুর চোখে ক্ষণিকের জন্য বিশ্বটা ঘুরে আসি৷
পেরুর মাচু পিচু
দক্ষিণ অ্যামেরিকার বেশ কিছু দেশে গেছেন তারেক অণু৷ ছবিটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ মাচু পিচুর, পেরুবাসীর কাছে যেটা মিশরের পিরামিডের মতো৷ পঞ্চদশ শতকে ইনকা সাম্রাজ্যের এই নিদর্শনটি ১৯১১ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হয়৷
উত্তর মেরু
বাংলাদেশের আরেক পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হকের সঙ্গে ২০০৭ সালে উত্তর মেরু গিয়েছিলেন তারেক অণু৷ এরপর আর কোনো বাংলাদেশি সেখানে গেছেন কিনা – তা জানেন না অণু৷ ‘‘উত্তর মেরুতে আমরা প্রায় ৬০ ঘণ্টা ছিলাম৷ পুরোটা সময় সূর্য আমাদের সঙ্গেই ছিল৷ কখনো ডুবেনি৷ এটা খুবই স্মরণীয় একটা ব্যাপার, যা আমার সারাজীবন মনে থাকবে৷’’
ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বত চূড়ায়
৪,৮১০ মিটার উচ্চতার মঁ ব্লঁ-য় আরোহণ করেছেন অণু৷ বিখ্যাত আলপ্স পর্বতমালার মধ্যে মঁ ব্লঁ-ই সবচেয়ে উঁচু৷ ফ্রান্স ও ইটালির সীমান্তে এই পর্বতচূড়াটি অবস্থিত৷
সাগরতলে অণু
উঁচুতে উঠে চারপাশ যেমন দেখেছেন তেমনি অণু স্নরক্লিং করে সাগরতলের সৌন্দর্য উপভোগ করারও চেষ্টা করেছেন৷
অন্নপূর্ণা সার্কিটে ট্রেকিং
নেপালের হিমালয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেকিং-এর পথ হচ্ছে অন্নপূর্ণা সার্কিট৷ পুরো ট্রেকিং পথটা প্রায় ১৬০ থেকে ২৩০ কিলোমিটারের মধ্যে৷ সেখানে ঘুরে বেড়িয়েছেন তারেক অণু৷
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর
ছবিটা দেখে কি মনে হচ্ছে? কোথাকার ছবি? এটি সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের ছবি৷ সেখানে নৌকায় তিনদিন ছিলেন অণু৷ অসংখ্যা হাঁসের উপস্থিতি আর হাওরের সৌন্দর্য দেখে পুলকিত হয়েছিলেন তিনি৷
এমন বৈচিত্র্য বিরল
অণু বলেন, ছোট্ট একটা দেশ যে কী পরিমাণ বৈচিত্র্যময় হতে পারে বাংলাদেশ তার উদাহরণ৷ তাই বাংলাদেশে ঘুরতেই বেশি পছন্দ করেন তারেক৷ সুন্দরবন, ভোলা ও পটুয়াখালির ডুবো চর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে অপরূপ নকশার বাড়িঘর সবই টানে অনুকে৷ ছবিটি সুন্দরবনের৷
একশোতে একশো মেক্সিকো
ঘোরার ক্ষেত্রে মেক্সিকোকে একশোতে একশো দিয়েছেন অণু৷ সেখানকার প্রকৃতি, পাহাড়, খাবার দাবার, মানুষজন, নিরাপত্তা সবকিছুই চমৎকার বলে জানান তিনি৷ ছবিতে মেক্সিকোর ঐতিহাসিক মায়া সভ্যতার মাঝে অণুকে দেখা যাচ্ছে৷
মান্ডেলার বাড়ি দর্শন
২০১০ সালের বিশ্বকাপ দেখতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান অণু৷ সেখানে গেছেন অথচ নেলসন ম্যান্ডেলার বাড়িতে যাবেন না তা কি হয়? ‘মান্ডেলা হাউস’ নামের এই বর্তমান জাদুঘরটিতে ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত বসবাস করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের প্রিয় নেতা ‘মাদিবা’৷
বিশ্বকাপ দেখতে জার্মানিতে
২০০৬ সালে জার্মানিতে যখন বিশ্বকাপ হয়েছিল তখন অণুরা কয়েকজন মিলে গাড়িতে করে ফিনল্যান্ড থেকে জার্মানিতে এসেছিলেন৷ ও হ্যাঁ, ২০০২ সাল থেকে ফিনল্যান্ডে থাকেন অণু৷ ছবিতে বার্লিনের বিখ্যাত টিভি টাওয়ার দেখা যাচ্ছে৷ বুঝতেই পারছেন টাওয়ারটিকে কেন ফুটবলের রূপ দেয়া হয়েছে৷
নরওয়ের ‘ফিয়র্ড’
নরওয়ে মানেই ফিয়র্ড অর্থাৎ লম্বা, সরু ও পর্বতঘেরা উপসাগর বা সামুদ্রিক খাঁড়ি৷ অণুর তোলা এই ছবিতে নরওয়ের একটি ফিয়র্ড দেখা যাচ্ছে৷
ফিদেল কাস্ত্রোর দেশে
কিউবার প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ থেকেই সেখানে গিয়েছিলেন অণু৷ সেখানকার একটি পরিবেশ বান্ধব ট্যাক্সির ছবি তুলেছেন তিনি৷
বাদ পড়েনি মারাদোনার দেশও
ফিদেল কাস্ত্রোকে বেশ পছন্দ করেন ফুটবলের কিংবদন্তি মারাদোনা৷ আর্জেন্টিয়ায় গিয়ে অণু দেখেছেন মারাদোনা ‘ফিভার’৷