বাংলাদেশ ও জার্মানির ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে
৩ অক্টোবর ২০১০২০ বছর আগে এই দিনে দুই জার্মানি এক হয়৷ মুছে যায় ৪৫ বছরের বিভক্তি৷ আর তা হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে৷ জার্মানির জাতীয় দিবসকে তাই অনুসরণীয় বলে উল্লেখ করেন ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত হোলগার মিশায়েল৷ তিনি বলেন, গণতন্ত্রের এই শান্তিপূর্ণ যাত্রা প্রমাণ করে সংঘাত নয় শান্তিপূর্ণভাবেই অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব৷
তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে রয়েছে সুদৃঢ় ঐতিহাসিক সম্পর্ক৷ দুই দেশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও শান্তিতে বিশ্বাসী৷ তাই দুই দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে৷
জার্মান দূত বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা অপরিহার্য৷ অপরিহার্য স্বাধীন সংবাদমাধ্যম৷ কারণ স্বাধীন সংবাদমাধ্যম বিচ্যুতিগুলোকে ধরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রকে সঠিক পথে চলতে সহায়তা করে৷
হোলগার মিশায়েল বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রতি জার্মান ক্রেতাদের রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ৷ এ কারণে জার্মানিতে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়ছে৷ তবে ব্যবহারকারীরা পোশাক শিল্পের অবস্থা, শ্রমিকেরা কি পরিবেশে কাজ করে , তাদের মজুরি এসব বিষয়কে খুব গুরুত্ব দেয়৷ তাই বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে সেদিকে নজর রাখতে হবে৷
তিনি বলেন, জার্মান বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিবেশকে গুরুত্ব দেয়৷ গুরুত্ব দেয় মানবাধিকারসহ অন্যান্য অধিকারকে৷ তাই জার্মান বিনিয়োগের জন্য এই বিষয়ের দিকে বাংলাদেশকে নজর রাখতে হবে৷
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ নানা বিষয়ে মতের আদান-প্রদান হচ্ছে৷ সাম্প্রতিক সময়ে আইন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জার্মানি সফর তার প্রমাণ৷ এই যোগাযোগ আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ আর ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ এই যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়