1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে

১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯

গত বছর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব না পড়লেও এবার পড়েছে৷ ২০০৮ সালে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লেও চলতি বছরের আটমাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগর পরিমাণ কমে গেছে৷

https://p.dw.com/p/JjKf
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/dpa

বিনিয়োগ বোর্ডের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত স্থানীয় ভাবে ১২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধিত হয়েছে৷ যেখানে গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা৷ একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব আট মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ কমে গেছে৷ বিশ্ব মন্দার কারণে বিনিয়োগে প্রবাহ কমে গেছে বলে বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আংকট্যাড এর ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট-২০০৯-এ এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ বিনিয়োগ বোর্ড বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রিপোর্টটি প্রকাশ করে৷ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ. সদস্য আবু রেজা, বেপজার সদস্য মাহবুবুল হকসহ বিনিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷ সংবাদ সম্মেলনে রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন৷
রিপোর্ট প্রকাশের পর বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী সদস্য ড. এস এ সামাদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নীতি হচ্ছে উম্মুক্ত৷ গণতান্ত্রিক সরকার অবশ্যই চান দেশে বেশি করে বিদেশি বিনিয়োগ আসুক৷ তিনি বলেন, মন্দার প্রভাব আমরা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছি৷ এর ফলে দেশের মধ্যে বিনিয়োগ বাড়তে শুরু করেছে৷ কাজেই আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই৷
রিপোর্ট উপস্থাপন করে অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন বলেন, রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্ব মন্দার প্রভাবে গত বছর বিশ্বব্যাপী এফডিআই প্রবাহ আগের বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ কমে গেছে৷ গত বছর বিশ্বব্যাপী এফডিআই প্রবাহ হয়েছে ১ হাজার ৬৯৭ কোটি ডলার৷ এর আগের বছর ২০০৭ সালে ছিল ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ডলার৷

প্রতিবেদক: সমীর কুমার দে, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক