1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে পাকিস্তানি 'জঙ্গি'সহ সন্দেহভাজন পাঁচজন গ্রেপ্তার

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ঢাকায় পাকিস্তানি 'জঙ্গি'সহ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে এলিট ফোর্স ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-ব়্যাব৷ ব়্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মোহাম্মদের আঞ্চলিক নেতা৷

https://p.dw.com/p/MESW
ফাইল ছবিছবি: DPA

আটককৃতদের চারজনকে শনিবার রাতে ধানমণ্ডিতে ঢাকা কলেজের বিপরীত দিকের সুকন্যা টাওয়ার থেকে এবং একজনকে নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ব়্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান৷ সুকন্যা টাওয়ার থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন – পাকিস্তানের নাগরিক রেজোয়ান আহম্মেদ, বাংলাদেশি নাগরিক মো. ইমাদউদ্দিন ওরফে মুন্না, মো. আবু নাসের মুন্সী এবং মো. সাদেক হোসেন ওরফে খোকা৷

নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মো. নান্নু মিয়া ওরফে বেলাল মণ্ডলকে৷ তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট, ধারালো চাকু, কম্পিউটারের সিপিইউ, বিভিন্ন ধরণের পরিচয়পত্র, বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে বলে ব়্যাব জানায়৷ রেজোয়ান ঢাকায় অবস্থান করে জইশ-ই মোহাম্মদের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ বাংলাদেশে জঙ্গি সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করছিলো বলে স্বীকার করেছে৷ ব়্যাব কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রেজোয়ান পিস্তল, একে-৪৭, এলএমজি, এইচএমজি, আরপি জি-৮, স্নাইপার রাইফেল চালনাসহ বিস্ফোরক ব্যবহারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত৷ এছাড়া রেজোয়ান রেল স্টেশন অথবা চলন্ত ট্রেনে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে৷''

বেলাল ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডুতে একটি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভারতে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১০ বছর গুয়াহাটি কারাগারে বন্দি ছিল বলে ব়্যাব জানায়৷ আটক মুন্না ও খোকা সুকন্যা টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটের মালিক মো. মহিউদ্দিনের ছেলে এবং আবু নাসের মহিউদ্দিনের ভাতিজা৷ চাঁদপুরের মহিউদ্দিনই মূলত পাকিস্তানি নাগরিক রেজোয়ানকে ঢাকায় আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে মনে করছে ব়্যাব৷

প্রসঙ্গত, গত শতকের '৯০'র দশকে পাকিস্তানের আরেক জঙ্গি সংগঠন হরকতুল মুজাহিদিন থেকে একটি অংশ বের হয়ে গঠন করে জইশ-ই মোহাম্মদ৷ সংগঠনটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হলেও তাদের গোপন তৎপরতা এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন