বাংলাদেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ
ঈদের ছুটিতে যখন ঢাকা শহর খালি করে সবাই ঘরে ফিরতে শুরু করে তখনই এমন ছবি বেশি দেখা যায় সংবাদমাধ্যমে৷ দরজা-জানালায়, ছাদের ওপরে, এমনকি ইঞ্জিনের সামনেও গিজগিজ করে মানুষ৷ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে এমন চিত্র প্রতিদিনের৷ দেখুন...
ইঞ্জিনের সামনে যাত্রী
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন ছেড়ে যায় কিছু ট্রেন, যেগুলোতে বিনা টিকিটে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন অনেক মানুষ৷ ট্রেনগুলো নারায়ণগঞ্জ, গেন্ডারিয়া, পাগলা, ফতুল্লা এবং চাষাড়ায় থামে৷ ঝুঁকিপূর্ণ ট্রেন ভ্রমণ সেখানে নিয়মিত ব্যাপার৷
পেছনে ঝুলছে শিশু
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের পিছনে কোনোমতে বসে যাত্রা শুরু করেছে এক শিশু৷
দুই বগির মাঝখানে
দরজা-জানালা, ছাদ, ইঞ্জিনই শুধু নয়, ট্রেনের দুই বগির সংযোগস্থলেও দিব্যি উঠে পড়েন অনেকে৷ তাঁদের কাছে ঝুঁকির চেয়েও যে কোনো উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছানোটাই বড় কথা৷
যেন আরামকেদারা
ট্রেনের বাইরের খাঁজটা যেন লম্বা এক আরামকেদারা৷ এমন জায়াগাতেও কিছু মানুষের কী অনায়াস ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা!
রেল লাইনের পাশেই সবজির দোকান
রেলপথ ঘেঁষেই কতগুলো দোকান৷ দোকান, দোকানদার, ক্রেতা – যে কেউ কখনো একটু অসতর্ক হলেই কাটা পড়তে পারেন ট্রেনে৷
সচেতনতা, সতর্কতা এবং নজরদারির অভাব
মূলত নাগরিক সেচতনতা, সতর্কতা এবং রেল কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবেই নিয়মিত চলে এমন ঝুঁকিপূর্ণ ট্রেনভ্রমণ৷ বাংলাদেশের প্রায় সব রুটেই এমন প্রবণতা দেখা যায়৷ ফলে মৃত্যুর খবরও নিয়মিতই আসে৷ গত ২০ ফেব্রুয়ারিও নওগাঁর রানীনগরে ওভার ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে মারা গেছেন চার জান৷ নিহতরা ঢাকায় চাকরি করতেন৷ ছুটিতে দ্রুতগামী ট্রেনের ছাদে চড়ে বাড়ি যাবার পথে এভাবে মৃত্যু হয় তাঁদের৷