1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে আরো একজন ব্রিটিশ নাগরিক আটক

৩ জুন ২০১০

তৃতীয় একজন ব্রিটিশ নাগরিককে বাংলাদেশে আটক করা হয়েছে৷ তার সহযোগী এবং দুই দেশেই তার কর্মকান্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঐ ব্রিটিশ নাগরিকের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/NgJK
প্রতীকী ছবিছবি: AP Graphics

ফয়সাল মোস্তফা তাঁর আইনজিবীকে বলেছেন, লন্ডনের মুসলিম পার্লামেন্টে তাঁর কাজকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় দৈহিক নির্যাতন, হুমকি, দমন এবং ভীতি প্রদর্শন করা হয় তাঁকে৷ যুক্তরাজ্যের সহযোগিতাতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ ফয়সাল মোস্তফা আফগানিস্তানে মুজাহেদিন হিসেবে লড়াই করেছে এবং যুক্তরাজ্যে তহবিল সংগ্রহেও কাজ করেছে৷

ফয়সাল মোস্তফা গ্রেটার ম্যানচেস্টারের, স্টকপোর্টের একজন কেমিস্ট৷ যুক্তরাজ্যে আল কায়দার হামলার প্রথম পরিকল্পনার সঙ্গে সে জড়িত ছিল, তার বিরুদ্ধে একবার এই অভিযোগ উঠেছিল৷ কিন্তু পরে সে এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পায়৷ মোস্তফা বলেন, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতনের কারণে দীর্ঘদিন তার কবজি এবং হাঁটু অকেজো ছিল৷ তার পায়ের পাতাতেও আঘাত করা হয়েছে এবং অনাহারে রাখার পাশাপাশি, দীর্ঘদিন আলো থেকেও তাকে দূরে রাখা হয়৷ মোস্তফার আইনজীবি দলের একজন গার্ডিয়ান পত্রিকাকে বলেন, ফয়সালের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে৷ এবং তাকে মূলত প্রশ্ন করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে কী হচ্ছে তা নিয়েই৷

গত বছরের মার্চ মাসে তাকে আটক করার পরে, আটক থাকা অবস্থায় তার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে৷ চলতি বছরের প্রথম দিকে ফয়সাল জামিনে মুক্তি পায় এবং ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়৷ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আরো দুইজন ব্রিটিশ নাগরিকের আটক থাকার কথা আইনজীবিরা উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের ওপরও নির্যাতন করা হয়৷ একই সঙ্গে আইনজিবীরা বলেন, নির্যাতনের সঙ্গে যে এম১৫ জড়িত তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে৷

গোলাম মুস্তফা নামে বার্মিংহামের একজন ব্যবসায়ির ওপরও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে৷ কয়েক সপ্তাহ জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে থাকার পর, গত মাসে যখন তাকে আদালতে হাজির করা হয়, তখন সে ঠিকমত দাঁড়াতে পারছিল না৷ ঢাকায় সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ দলের একজন কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ব্রিটিশ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের অনুরোধেই প্রায় ১২ জন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক সম্পর্কে তদন্ত করা হয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, যেভাবে তা করা হয়েছে, তা ব্রিটিশ আই বহির্ভূত হতে পারে৷

বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশে বেড়াতে এসে সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলে, ব্রিটিশ নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তিন বছর আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল৷

প্রতিবেদন : ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা : আবদুস সাত্তার