বাংলাদেশে অর্গানিকের চল
ধীরে হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অর্গানিক পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে৷ ইতিমধ্যে ঢাকায় চালু হয়েছে অর্গানিক খাবারের রেস্টুরেন্ট৷ রয়েছে অর্গানিক পণ্য কেনার দোকান৷
ভেজাল ও বিষমুক্ত
বিশ্বব্যাপী অর্গানিক পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণ হলো, এ সব পণ্য উৎপাদনে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহৃত হয় না৷
নিরাপদ
বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিওপিএমএ-র প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আব্দুস সালাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লক্ষ বিশ হাজার মানুষ বিষযুক্ত ও ভেজাল খাবার খেয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে৷ অর্গানিক খাবার খেলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে৷
শিশুরাও আক্রান্ত
সার ও কীটনাশক দিয়ে উৎপাদিত খাবার খেয়ে অনেক শিশুও অসুস্থ হয়ে পড়ছে৷
কৃষকদের প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশে এখন অনেক অঞ্চলেই অর্গানিক ফসল উৎপাদনে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে৷ সম্প্রতি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জাপানভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের উদ্যোগে একটি অর্গানিক চাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে৷ উবিনীগ সহ অন্যান্য সংস্থাও কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে৷
অর্গানিক রেস্টুরেন্ট
মিরপুর-২ নম্বর স্টেডিয়ামের পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে একটি অর্গানিক রেস্টুরেন্ট সেখানে অন্য মেনুর সঙ্গে অর্গানিক মেনুও পাওয়া যায়৷ এছাড়া কাফরুল, রূপনগর ও মিরপুর ১৩-তে আরও তিনটি ছোট আউটলেট রয়েছে বলে জানান রেস্টুরেন্টটির মালিক মিজানুর রহমান৷
শতভাগ অর্গানিক
আগামী এক বছরের মধ্যে বনানিতে একটি শতভাগ অর্গানিক রেস্টুরেন্ট খোলার পরিকল্পনা করছেন মিজানুর রহমান৷ সেখানে শুধুমাত্র অর্গানিক মেনুই পাওয়া যাবে৷ যেমন ছবির এই মেনুটি৷
অর্গানিক পণ্যের খোঁজ
আগ্রহীরা অর্গানিক পণ্য কিনতে চাইলে যেতে পারেন মীনা বাজারে৷ তাদের আউটলেটগুলোতে এজন্য আলাদা কর্নার রয়েছে৷ এছাড়াও ঢাকা শহরে ‘হারভেস্ট’ নামে একটি দোকান রয়েছে যেখানে অর্গানিক পণ্য পাওয়া যায়৷
অনলাইনেও অর্গানিক পণ্য
এখন অনলাইনেও অর্গানিক পণ্য কিনতে পাওয়া যাচ্ছে৷ এজন্য ভিজিট করুন অর্গানিকবাজার ডটকম ডটবিডি (organicbazaar.com.bd)৷ আপাতত ঢাকা শহরের মধ্যে হোম ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে৷ বিকাশ-এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে৷ তবে মিজান জানালেন, অনলাইনে কেনাকাটার প্রসার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷