1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশ নির্বাচন নিয়ে ভারত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৭ জানুয়ারি ২০১৪

হিংসার আবহে বাংলাদেশের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্টতা পেলেও আওয়ামী লীগের বিপদ কাটেনি৷ বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে বিরোধী বিএনপি ও তার শরিক দলগুলি৷ এ পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা কী হওয়া উচিত? কী বলছে পত্র-পত্রিকাগুলি?

https://p.dw.com/p/1Aly5
Bangladesch Stimmenauszählung 05.01.2014
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

গণতন্ত্রের শর্ত অনুযায়ী, বিরোধী দল ছাড়া বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনি ফলাফলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ পাশাপাশি এটাও ঠিক যে বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া ও অন্যান্য বিরোধী নেতা-নেত্রীদের আলোচনার টেবিলে আনতে পশ্চিমি দেশগুলির সঙ্গে ভারতও চেষ্টার কসুর করেনি৷ কিন্তু সরকার ও বিরোধীপক্ষ নিজেদের অবস্থানে বরাবর অনড় থেকে গেছে৷ ফলে নির্বাচন হয়েছে একতরফা৷ পরিণাম – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ কোনো নির্বাচনি পর্যবেক্ষক পাঠায়নি৷ ভারত অবশ্য পাঠিয়েছে৷ বলেছে, বাংলাদেশের সংকট কাটাতে সর্বস্তরের জনগণের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ খোঁজা উচিত ছিল৷ দরকার ছিল অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন৷ ভারত বরাবরই এই অবস্থান নিয়ে এসেছে, আর এখনও তাই মনে করে৷

নির্বাচন পরবর্তি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কম হবে বলে মনে করে না দিল্লি৷ বরং সমস্যাপীড়িত নতুন সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জটিল হবে৷ খতিয়ে দেখতে হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদ বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো পক্ষকেই সমর্থন করতে রাজি নয় ভারত৷ দিল্লি উদ্বিগ্ন এই কারণে যে, বেশি দিন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে ভারতে অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে, যেটা একেবারেই কাম্য নয় দিল্লির৷ হাসিনা সরকারকে সেটা জানিয়েও দিয়েছে ভারত৷ ভারতের জাতীয় পত্র-পত্রিকার একাংশের মতে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও তদারকি, সরকারের অধীনে নির্বাচন না করানোর জেরে বিএনপি ও তার অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর সহিংসতা চলবে৷ যার শিকার হবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়৷ শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সীমান্তপার থেকে বাড়তে পারে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গি তৎপরতাও৷

আওয়ামী লীগ চাইছে এক ধর্মনিরপেক্ষ উদার বাংলাদেশ৷ অন্যদিকে জামায়াতের বাঁচা-মরা নির্ভর করছে ইসলামিক পরিচয়ে৷ সেটাই হবে জামায়াতের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংসাদপত্রের সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করা হয়, প্রাক-নির্বাচনকালে হাসিনা সরকারের সংকটমোচনে ভারত ব্যর্থ হয়েছে৷ এখন দিল্লির যেটা করণীয়, তা হলো এই কঠিন সময়ে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হাসিনা সরকারের সমর্থনে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলা৷ কারণ, এই মুহূর্তে অনেক দেশ নতুন নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে৷ সেটা খারিজ করলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে পারে বাংলাদেশ৷

বলা বাহুল্য, নতুন নির্বাচন মানে বাংলাদেশের ওপর বাড়তি আর্থিক বোঝা৷ দীর্ঘদিন হরতাল, অবরোধে বাংলাদেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা৷ পাশাপাশি দিল্লি মনে করে, বিরোধী দলগুলির দিকে সদিচ্ছার হাত বাড়িয়ে বাংলাদেশের বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করা, যাতে এক নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠে৷ খালেদা জিয়াকেও নতুন করে চিন্তা করতে হবে জামায়াতের সঙ্গে হাত মেলানো কতটা কাঙ্খিত৷

ভারতের মতো অনেকেই এখন তাকিয়ে আছে নির্বাচন-পরবর্তীকালে হাসিনা সরকার কোন পথে এগোয়, তার দিকে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য