1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

১ ডিসেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বারোটি দল পাঠানোর এবং স্থানীয়দের অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন এই তথ্য৷

https://p.dw.com/p/39G8f
ছবি: Reuters

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর৷ বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল আশঙ্কা করছে যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় টিকে থাকতে নির্বাচনে কারচুপির আশ্রয় নিতে পারে৷ নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের ‘গায়েবি' মামলায় গ্রেপ্তার এবং হয়রানিরও অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো৷ ফলে, নির্বাচনের সময় কিছুটা ‘নিরপেক্ষ পরিবেশ' পেতে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা যাতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে সেই দাবি করে আসছিল বিরোধী দলগুলো৷ 

তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি দেশটিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষক না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে৷ তার বদলে দুই সদস্যের নির্বাচন বিশেষজ্ঞ পাঠিয়েছে তারা, যারা নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে৷ প্রতিবেশি দেশ ভারতও বাংলাদেশ সরকার না চাইলে কোন ধরনের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এমতাবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হয় সেদিকে নজর ছিল অনেকের৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি পর্যবেক্ষকদের যে বারোটি দল পাঠাচ্ছে, তাতে প্রতিটি দলে দু'জন করে সদস্য থাকবেন বলে জানা গেছে৷ তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা উইলিয়াম ম্যোলার৷

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে এটি একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়৷ আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অর্থায়ন করছি যারা সেরকম একটি নির্বাচন দেখার প্রত্যাশা করছে৷''

সাম্প্রতিক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় হয়রানি এবং ভয়ভীতি এবং হুমকি প্রদর্শনের কারণে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম হয়েছে বলে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে সেসবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ম্যোলার বলেন, ‘‘আমরা তখনই সেসব বিষয় নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি, এবং আশা করছি জাতীয় নির্বাচনের সময় সেরকম কিছু ঘটবে না৷'' 

‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই’

মার্কিন দূতাবাসের এই রাজনৈতিক কর্মকর্তা আরো জানিয়েছে যে, ব্যাংককভিত্তিক ‘এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস' প্রায় ত্রিশ সদস্যের একটি স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের দল পাঠাচ্ছে৷ এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা, ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগ এবং সুইস সরকার যৌথভাবে ১৫,০০০ বাংলাদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষককে অর্থায়ন করবে৷

তবে, ম্যোলার এটাও স্বীকার করেছেন, স্থানীয় এই পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেও দেশটির সব ভোটকেন্দ্র হয়ত তাদের পক্ষে পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে না৷

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে ভোটারের সংখ্যা দশকোটির বেশি৷ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চল্লিশহাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে৷

এআই/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)