1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

যে দেশে শিশুমৃত্যুর হার বেশি

১৯ নভেম্বর ২০১৬

গতবছর গোটা বিশ্বের মারা যাওয়া পাঁচবছরের কম বয়সি প্রায় ৫৯ লক্ষ শিশুর মধ্যে ৬০ শতাংশই এশিয়া এবং আফ্রিকার দশটি দেশে যা সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা গেছে৷ তাই শিশুমৃত্যুর হার কমাতে আরো উদ্যোগের আহ্বান জানানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2SmYR
বাংলাদেশের একটি হাসপাতাল
ছবি: DW

গতবছর গোটা বিশ্বের মারা যাওয়া পাঁচবছরের কম বয়সি প্রায় ৫৯ লক্ষ শিশুর মধ্যে ৬০ শতাংশ মারা গেছে এশিয়া এবং আফ্রিকার দশটি দেশে৷ শুক্রবার প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা গেছে এই তথ্য৷ শিশুমৃত্যুর হার কমাতে তাই আরো উদ্যোগের আহ্বান জানানো হয়েছে৷

দ্য ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শিশুমৃত্যুর হার ২০১০ সালের তুলনায় ৪০ লাখের মতো কমলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশি শিশুমৃত্যুর ধারা অব্যাহত রয়েছে৷ ল্যানসেট-এর গবেষণায় ১৯৪টি দেশকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে৷

গবেষণা অনুযায়ী, গতবছর গোটা বিশ্বে গতবছর ৫৯ লাখ শিশু মারা গেছে৷ এরমধ্যে ৩৬ লাখ শিশুই মারা গেছে ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, চীন, আঙ্গোলা, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এবং তানজেনিয়ায়৷ মূলত নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্ম নেয়া শিশুরা পরবর্তীতে নানা জটিলতায় এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন, যারা জন্স হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ, দ্য লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চাকুরি করেন৷

গবেষকরা জানান, শিশু মৃত্যুর হার আগের চেয়ে উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে, যদিও কিছু দেশ জাতিসংঘের সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অনুযায়ী ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের কমবয়সি শিশুমৃত্যুর হার দুই-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে৷ সেই সময়ের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে ৫৩ শতাংশ৷

গবেষকরা মনে করেন, শিশুর জন্মের প্রথম ২৮ দিনের মধ্যে মৃত্যু রোধের ক্ষেত্রে সফলতা কম হওয়ায় এমডিজি-র লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি৷ গতবছর মারা যাওয়া ৫৯ লাখ শিশুর মধ্যে সাতাশ লাখই ছিল নবজাতক৷ জন্স হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ-এ কর্মরত লি লিউ, যিনি গবেষণাটির অন্যতম লেখক, বলেন, ‘‘সমস্যা হচ্ছে শিশুমৃত্যু রোধে সাফল্য একেক দেশে একেকরকমভাবে এসেছে৷ যার অর্থ হচ্ছে, অনেক দেশে এখনো শিশুমৃত্যুর হার বেশ বেশি৷''

সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়াতে শিশুমৃত্যুর হার কমাতে আরো অগ্রগতি প্রয়োজন বলে মনে করেন লিউ৷ সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের নতুন নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণ সম্ভব হতে পার বলে জানান তিনি৷

গতবছর এমডিজিকে প্রতিস্থাপন করা এসডিজি অনুযায়ী, যেসব দেশ পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর মৃত্যুর হার কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের ২০৩০ সাল নাগাদ শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজার জন্মে পচিশের নীচে নামিয়ে আনতে হবে৷ এই লক্ষ্য অর্জনে গবেষকরা শিশুকে মায়ের দুধ পান করানোসহ নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া ও ডায়েরিয়ার টিকা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ এবং পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নেরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷

এআই/ডিজি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

বন্ধুরা, বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ কী? জানান আমাদের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান