হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালার শহর হ্যামলিন
১ সেপ্টেম্বর ২০১৬শহরজুড়ে রূপকথার চরিত্রের ছড়াছড়ি৷ হ্যামলিন শহরের কেন্দ্রস্থলে তাদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো৷ বিশেষ করে ইঁদুরের সংখ্যা কম নয়৷ কারণ জার্মানির অন্যতম বিখ্যাত রূপকথার চরিত্র ‘হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা'-র প্রেক্ষাপট এই হ্যামলিন শহর৷ ৭০০ বছর আগে সেই বাঁশিওয়ালা শহরকে ইঁদুরমুক্ত করেছিল বলে ধরে নেওয়া হয়৷ আজও তার কথা কেউ ভোলেনি৷
গ্রিম ভাইদের কল্যাণে হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা বিশ্ববিখ্যাত হয়ে উঠেছে৷ ৩০টিরও বেশি ভাষায় গল্পটি অনুবাদ করা হয়েছে৷ হ্যামলিন মিউজিয়ামের প্রধান স্টেফান ডাবেরকো বলেন, ‘‘গ্রিম ভাইদের বাকি গল্পগুলিও এত জনপ্রিয় হওয়ায় হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালার গল্পটির ফায়দা হয়েছে৷ ইংরিজিভাষী দেশগুলি তো বটেই, গোটা ইউরোপের ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যায়৷ এশিয়া মহাদেশেও বাঁশিওয়ালা সহ রূপকথা নিয়ে বিপুল উৎসাহ রয়েছে৷''
এই উৎসাহের ফায়দা তুলছে হ্যামলিন শহর৷ শহর কর্তৃপক্ষের সূত্র অনুযায়ী প্রতি বছর ৩৮ লক্ষ মানুষ বাঁশিওয়ালার চিহ্ন খুঁজতে সেখানে আসেন৷ অথবা সরাসরি তাঁর সাক্ষাৎ পেতে৷ মাইকেল বয়ার গত ২২ বছর ধরে হ্যামলিনের সরকারি বাঁশিওয়ালা৷ এই মার্কিন নাগরিক সেই কিন্ডারগার্টেন থেকেই গল্পটির সঙ্গে পরিচিত৷ বাঁশিওয়ালার এই চরিত্রাভিনেতা বলেন, ‘‘ক্লাস থ্রি থেকেই বাঁশিওয়ালার গল্প পড়ে আসছি৷ এক বাঁশিওয়ালা শহর থেকে ইঁদুর, তারপর বাচ্চাদের ধরে নিয়ে যেতে পারে৷ মেয়রের কাছ থেকে সে টাকা পেল না – এই সব বিষয় তখনই বিশ্বাস করিনি৷ জাদুময় এই গল্পের জাদুময় সংগীত৷ তারপর জানতে পারলাম, সত্যি হ্যামলিন নামের এক শহর রয়েছে৷ খুব ভালো লাগলো, শেখার ইচ্ছা হলো৷''
গ্রিম ভাইদের অনেক রোমাঞ্চকর কাহিনি কাসেল শহরে লেখা হয়েছিল৷ ‘গ্রিম জগত' মিউজিয়াম শহরের বড় আকর্ষণ৷