বহন এবং বাহন
বোঝাই-করা আলুর বস্তা, কাঠের তক্তা বা আখের আঁটি৷ মোপেড কিংবা সাইকেল কিংবা গাধার পিঠে চড়িয়ে তা বহন করার নানান পন্থা বের করে ফেলেছে মানুষ৷
কঙ্গো: সুকুদু
দু’টি ছোট ছোট চাকা, একটি হাতল, মালপত্র রাখার অনেকটা জায়গা - সব কিছুই কাঠের৷ এই হল সুকুদু৷ এই অসাধারণ যানটি বিশেষ করে পূর্ব কঙ্গোয় বানানো এবং ব্যবহার করা হয়৷ সুকুদু স্রেফ ঠেলে চালানো হয়, তার ইঞ্জিনের দরকার পড়ে না!
ফিলিপিনের ‘জিপনি’
ফিলিপিনের জিপনি-রা ঠিক জিপ নয়, জিপ গোত্রীয় গাড়ি৷ ভস ভস করে ধোঁয়া বেরোয়, কেননা গাড়িগুলো খুবই পুরনো৷ গোড়াতে এই জিপনি-গুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন সৈন্যদের ফেলে রেখে যাওয়া জিপ থেকে তৈরি হতো৷ রংচং হতো ফিলিপিনি ঢঙে৷ আজ অবশ্য নতুন মডেল কিনতে পাওয়া যায়৷
ভিয়েতনামের মোপেড
ভিয়েতনামের হালকা-পলকা অটোসাইকেল বা মোটরবাইকগুলি বিশেষভাবে জনপ্রিয়৷ রাজধানী হ্যানয়-এর বাসিন্দা ৬৫ লাখ, কিন্তু মোপেড চলে ৪০ লাখ৷ টুরিস্টরাও মোপেডে চড়ে শহর দেখতে ভারী পছন্দ করেন৷
কম্বোডিয়ার বাঁশের ট্রেন
নাম হল নরি৷ ‘নরি’-তে আজ আর বিশেষ যাত্রী ওঠেন না৷ অপরদিকে এই বাঁশের ট্রেন ব্যাকপ্যাক টুরিস্টদের কাছে খুবই প্রিয়৷ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে ধানক্ষেতের মধ্যে দিয়ে, ছোটখাটো গাঁ পেরিয়ে যেতে ভালো লাগে বৈকি৷...
থাইল্যান্ডের টুক টুক
টুক টুক শুধু থাইল্যান্ডেই নয়, বিশ্বের বহু দেশে চলে৷ পর্যটকদের বিশেষ প্রিয়, কেননা টুক টুক ট্যাক্সির চেয়ে সস্তা৷ টুক টুক-এর আরেক নাম হল অটো রিকশা৷
কম্বোডিয়ার সাইকেল রিকশা
আমাদের উপমহাদেশেও - অন্তত মফস্বলে - সাইকেল রিকশা ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না৷ তবে কম্বোডিয়ার এই সাইকেল রিকশাটি দেখলে বোঝা যায়, হালে মডেলের কতো রকমফের ঘটছে৷
চিরকালের বাহন
গাধার পিঠে মাল টানা চলে আসছে সুপ্রাচীন কাল থেকে৷ পাঁচ হাজার বছর আগেও মাল পরিবহণের কাজে জন্তু-জানোয়ার ব্যবহার করা হতো৷ আজও বিশ্বের কোনো কোনো এলাকায় গাধা পোষা গাড়ি রাখার চেয়ে সস্তা হতে পারে!
জার্মানিতে মালবাহী বাইসাইকেল
ইউরোপে এখন সাইকেল থেকে রিকশা, অশ্বশক্তির বদলে পেশিশক্তিতে চলে, এমন সব ধরনের যানের চল৷ কাজেই জার্মানিতে এই ধরনের ‘লাস্টেনরাড’ বা মালবাহী সাইকেল মালপত্র বওয়া থেকে শুরু করে কচিকাঁচাকে কিন্ডারগার্টেনে পৌঁছে দেওয়া, সব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷