বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে নির্যাতনের শিকার যারা
বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থী ও অভিবাসী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ অভিযোগ উঠেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে ক্রোয়েশিয়া পুলিশ তাদের পিটিয়েছে৷
ইইউর সীমান্তে নির্যাতন
বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত অতিক্রম করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) প্রবেশের চেষ্টাকালে সম্প্রতি ৭৫ জনেরও বেশি শরণার্থী এবং অভিবাসী পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ এভাবে প্রবেশ অবৈধ হলেও ইইউ আইনে কাউকে পেটানোর নিয়ম নেই৷ ছবিতে একজন বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীকে দেখা যাচ্ছে যিনি গত ১৩ অক্টোবর আরো কয়েকজনসহ সীমান্তে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন৷
বাদ যাচ্ছে না কেউ
ইইউ বহিঃসীমান্তে নির্যাতনের শিকাররা অভিযোগ করেছেন কালো পোশাকের পুলিশ সদস্যরা কোন রকম বাছবিচার ছাড়াই তাদেরকে লাঠি দিয়ে পেটায়৷ বিশেষ করে কেউ ক্রোয়েশিয়া প্রবেশ করার পর তাদেরকে জোর করে বসনিয়াতে ফেরত পাঠানোর সময় নির্যাতন করা হয়৷ অনেকক্ষেত্রে এই নির্যাতন পরিকল্পিত বলেও দাবি তাদের৷ ছবিতে একজন মরক্কোর নাগরিককে দেখা যাচ্ছে যাকে পিটিয়ে এই হাল করা হয়েছে৷
নিয়মিত ঘটছে নির্যাতন
বসনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্য রয়েছে এক হাজার কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত৷ ২০১৭ সাল নাগাদ ইউরোপে প্রবেশের অন্যান্য রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থী ও অভিবাসীরা ইইউতে প্রবেশের জন্য এই সীমান্ত বেছে নেয়৷ তারা সাধারণত তুরস্ক, গ্রিস হয়ে বসনিয়াতে অবস্থান নেয় এবং সেখান থেকে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করে৷ ছবিতে একজন বাংলাদেশি শরণার্থীকে দেখা যাচ্ছে যার হাত পিটিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে৷
অভিযোগ কালো পোশাকধারী পুলিশের বিরুদ্ধে
শরণার্থী ও অভিবাসীরা জানিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার একটি বিশেষ বাহিনী রয়েছে যারা কালো পোশাক এবং কালো মাস্ক পরে থাকে৷ শুধুমাত্র এই বাহিনী তাদের নির্যাতন করে বলে নির্যাতনের শিকার কয়েকজন জানিয়েছেন৷ ক্রোয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সীমান্তে নির্যাতনের ঘটনাগুলো যাচাই করছে সেদেশ৷
ইইউ কি কোন উদ্যোগ নেবে?
বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘণের ঘটনা সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবহিত করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা৷ এই বিষয়ে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইইউ এর ইলভা ইয়োহানসন৷ তবে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সীমান্তে নির্যাতন বন্ধে এখন অবধি ক্রোয়েশিয়ার উপর কোন দৃশ্যমান চাপ প্রয়োগ করেনি ইইউ৷