1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বসনিয়ায় তুষারপাতে বিপদে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা

৪ ডিসেম্বর ২০২০

শীত যত বাড়ছিল, দুর্ভোগ ততটাই বাড়ার শঙ্কা ছিল অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে৷ শীত মৌসুমের প্রথম তুষারপাত সে দুর্দশা বাড়িয়ে দিলো আরো কয়েকগুণ৷

https://p.dw.com/p/3mEAD
বসনিয়ার ভেলিকা ক্লাদুসা
বসনিয়ার ভেলিকা ক্লাদুসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তাঁবুছবি: Joan Giralt/AP/picture alliance

ভেলিকা ক্লাদুসার জঙ্গল থেকে ডয়চে ভেলে বাংলা যখন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে, তখনই শীতের হাত থেকে বাঁচতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তারা৷ বাইরের ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পলিথিনের তৈরি অস্থায়ী ঘর তৈরি করেছেন তারা৷ কিন্তু সেটির ভেতরেও সহজেই জমে কুয়াশার ফোঁটা৷ 

আশপাশ থেকে সংগ্রহ করা লাকড়ি দিয়েই রান্না ও শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছিলেন অনেকে৷ কিন্তু তাদের রসদও ফুরিয়ে আসছিল দ্রুতই৷

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, তুষারপাতের মধ্যেও বেশ কিছু অভিবাসনপ্রত্যাশী সেই পলিথিনের অস্থায়ী ঘরগুলোতেই বাস করছেন৷

বসনিয়ার ভেলিকা ক্লাদুসায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তাঁবু
ছবি: Joan Giralt/AP/picture alliance

অনেকক্ষেত্রেই পলিথিনের তাঁবুর ওপর বরফ জমে তা বাঁকা হয়ে যাচ্ছে, ভেঙেও পড়ছে৷ উলের তৈরি টুপি, গরম পোশাক ও রেইনকোট পরে শীত মোকাবিলার চেষ্টা করছেন তারা৷ তবে প্রচণ্ড ঠান্ডার তুলনায় এসব ব্যবস্থা একেবারেই অপ্রতুল বলে বর্ণনা করা হয়েছে এপির সংবাদে৷

বাংলাদেশ থেকে আসা ৩০ বছর বয়সি শাহীন এপিকে বলেন, ‘‘এখন প্রচণ্ড ঠান্ডা, গত রাতে আমরা খুবই সমস্যায় পড়েছিলাম৷ আমাদের কোথাও ঘুমানোরও জায়গা নেই৷’’

তুষারপাতের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷ অনেকে নিজেদের একমাত্র গরম কাপড় ধুয়ে শুকানোর জন্য ঝুলিয়ে রেখছিলেন৷ বরফ পড়ে মুহূর্তেই জামা-কাপড়-জুতা এমনকি অনেকের রাতের একমাত্র সম্বল কম্বলও ভিজে যায়৷

২২ বছরের আহমেদ জানান, তিনি কোথাও থাকার জায়গা পাচ্ছেন না৷ পরিস্থিতি দিনদিন টিকে থাকার জন্য ‘অসম্ভব’ হয়ে পড়ছে বলেও জানান তিনি৷

গেমের নাম ইউরোপ

১৯৯০-এর দশকে যুদ্ধের পর থেকে এখনো অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বসনিয়া৷ ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির কারণে ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবেই পরিচিত বসনিয়া৷ তার ওপর হাজার হাজার অভিবাসীর চাপ দেশটিকে আরো বিপদে ফেলেছে৷

বসনিয়ার রাজনীতিবিদরাও একমত হতে না পারায় সংকট মোকাবিলায় সঠিক পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারছে না দেশটির সরকার৷

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কেউই বসনিয়ায় থাকতে চান না৷ তাদের লক্ষ্য সীমান্তের ওপাড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ক্রোয়েশিয়া গিয়ে দেখান থেকে ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানির মতো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশগুলোতে যাওয়া৷

কিন্তু ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্যে অবৈধভাবে পাড়ি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন বেশিরভাগ অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ তাদের ক্রোয়েশিয়া বা স্লোভেনিয়া থেকে বসনিয়ায় ফেরত পাঠানোর সময় নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে৷

ক্রোয়েশিয়া পুলিশের বিরুদ্ধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ বারবার উঠলেও এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷

এডিকে/এসিবি (এপি)

২৭ অক্টোবরের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য