1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বলে চিপ, আকাশে ক্যামেরা – কোথায় চলেছে ফুটবল?

৩ জুলাই ২০১০

এবারের বিশ্বকাপে রেফারির অনেক ভুল সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ফুটবল মাঠে প্রযুক্তির প্রয়োগের পক্ষে ও বিপক্ষে নানা রকম যুক্তি শোনা যাচ্ছে৷ কী ধরনের প্রযুক্তি মাঠে কাজে লাগানো সম্ভব?

https://p.dw.com/p/O9kw
গোল, নাকি গোল নয়? বলবে ‘হক-আই' প্রযুক্তিছবি: AP

সবার আগে শোনা যাচ্ছে ভিডিও ক্যামেরার কথা৷ না, আমরা টেলিভিশনের পর্দায় যে ক্লোজ আপ বা অ্যাকশন রিপ্লে দেখি, তার উপর ভিত্তি করে রেফারি সিদ্ধান্ত নেবেন না৷ তাঁর সুবিধার জন্য ভিডিও ক্যামেরা অন্যভাবে ব্যবহার করা হবে৷ এই প্রযুক্তির নাম ‘হক-আই' অর্থাৎ বাজপাখির প্রখর দৃষ্টি৷ গোলপোস্টের ২০ মিটার উপরে ঝোলানো থাকবে একাধিক ক্যামেরা৷ তবে এই ক্যামেরা মূলত সেন্সর হিসেবে কাজ করবে৷ বল গোলপোস্টে ঢুকলে সঙ্কেত চলে যাবে রেফারির ঘড়িতে৷ ২০০৭ সালে যুব বিশ্বকাপে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছিলো৷ তবে সেসময়ে কিছু ভুলও ধরা পড়েছিল৷ ইতিমধ্যে অবশ্য সেই প্রযুক্তির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে৷

বলের মধ্যে ইলেকট্রনিক চিপ লাগানোর পক্ষেও সওয়াল করছেন অনেকে৷ সেক্ষেত্রে বল গোলপোস্টের ভেতর ঢুকলেই গোলপোস্টের সেন্সর তা ধরে ফেলবে৷ রেফারির হাতের ‘যাদু ঘড়ি'তে চলে আসবে সেই সঙ্কেত৷ ফলে খালি চোখে তিনি যা ভালোভাবে দেখতে পান নি, সেবিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তিনি৷ জার্মানির ‘আডিডাস' ফিফার সঙ্গে একযোগে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে৷ বলাই বাহুল্য, এই মুহূর্তে তারা এমন প্রযুক্তি বাকিদের দিতে রাজি নয়৷

এই সব পদক্ষেপের বাইরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ফিফা'কে৷ প্রধান রেফারি ও মাঠের দু'পাশে সহকারী রেফারি ছাড়াও উপস্থিত থাকেন চতুর্থ এক ব্যক্তি, যাঁকে ‘ফোর্থ অফিশিয়াল' বলা হয়৷ এতকাল তিনি সাংগঠনিক বিষয়গুলির দিকেই নজর রেখে এসেছেন৷ এবার তাঁর ভূমিকা বাড়ানোর প্রস্তাব আনা হচ্ছে৷ তিনি টেলিভিশনের পর্দায় ‘অ্যাকশন রিপ্লে' দেখে প্রধান রেফারিকে হেডফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারবেন, গোল, অফসাইড বা ফাউল হলো কি না৷

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপে যে সব খেলোয়াড় মাঠে নামছেন, তাঁদের বেশিরভাগই প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ যাঁরা বিপক্ষে রয়েছেন, তাঁদের যুক্তি – ফুটবল আবেগ ও অনুভূতির খেলা৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর নির্ভর হয়ে পড়লে সেই আমেজই হারিয়ে যাবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক