বন্যার পর জার্মানদের বাঁচার লড়াই
চকিত বন্যার জল নেমেছে। কিন্তু তা ফেলে গিয়েছে ধ্বংসস্তূপ। আর সেই সব সরিয়ে বাঁচার লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জার্মানরা।
বন্যার পরের ছবি
যে জায়গায় বন্যা হয়েছে, সেখানে শুধু বিপর্যয়ের ছবি। বাড়ি ভেঙেছে। গাড়ি ভেসে গেছে। আসবাব ভেঙে ছড়িয়ে আছে চারদিকে। মৃতের সংখ্যা ১৬০ ছাড়িয়েছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ।
এ কোন বাড়ি
জুটা স্কেলেকিসের অ্যাপার্টমেন্ট। তিনি ও তার আহত স্বামী দুই দিন ধরে এই অবস্থায় ছিলেন। তারপর প্রশাসনের কর্মীরা এসে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যান। তাদের অ্যাপার্টমেন্ট আর বাসযোগ্য নেই।
রাস্তার হাল
যা একসময় ছিল মানুষের প্রিয় আসবাব ও ঘরের জিনিসপত্র, তা এখন আবর্জনায় পরিণত হয়েছে। সেই আবর্জনায় ভর্তি রাস্তা। কিন্তু এর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়ে তার প্রভাব মানুষের স্বাস্থ্যের উপর পড়তে পারে। আর কাদা একবার শুকিয়ে গেলে খুব শক্ত হয়ে যাবে। তা ওই আবর্জনাকে এমনভাবে জড়িয়ে নেবে যে, তখন পরিষ্কার করা দুষ্কর হবে।
কাজে নেমে পড়েছেন আবাসিকরাই
সময় নষ্ট না করে কাজে নেমে পড়েছেন আবাসিকরাই। তারাই রাস্তা সাফ করছেন। আবর্জনা ফেলছেন। ময়লা ফেলার গাড়ি এসে বারবার করে তা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বন্যাক্রান্ত একটি এলাকায় সপ্তাহান্তে ১৪ হাজার টন আবর্জনা সরানো হয়েছে।
সাহায্যের হাত
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জার্মানির মানুষ। প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক গিয়ে বন্যাক্রান্ত এলাকায় কাজ করছেন। প্রচুর ডোনেশন জমা পড়েছে। বেশ কিছু সমাজসেবী সংগঠন জানিয়েছে, তারা আর ত্রাণসামগ্রী নিতে পারছে না। বিপর্যয় এই এলাকার সব মানুষকে এক করে দিয়েছে।
ম্যার্কেল আবার
জার্মানির চ্যান্সেলার ম্যার্কেল মঙ্গলবার আবার বন্যাদুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন। তিনি এদিন গিয়েছিলেন নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়াতে।
বাসিন্দাদের সঙ্গে
ম্যার্কেল সেখানে বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন। তাদের উজ্জীবীত করেন।
ত্রাণ কীরকম হচ্ছে
সেখানে ত্রাণের কাজ কীরকম হচ্ছে সেটাও দেখেন জার্মান চ্যান্সেলার।
সমালোচনা
বন্যার আগাম আভাস দেয়া হয়নি, তাই বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। জার্মান প্রশাসনকে এখন এই সমালোচনা শুনতে হচ্ছে। প্রশাসন অবশ্য এই সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছে। ম্যার্কেল বলেছেন, মোবাইল অ্যালার্ট সিস্টেমের উপর সবসময় ভরসা রাখা যায় না। যখন মোবাইল ফোনেই কাজ করবে না, তখন কী করে অ্যালার্ট মানুষের কাছে পৌঁছবে?