1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে তেলযুক্ত মাছ

৩০ মার্চ ২০১০

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তেলযুক্ত মাছ নারীর বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন মার্কিন গবেষকরা৷

https://p.dw.com/p/MhXy
ছবি: AP Graphics/DW

প্রায় সত্তর হাজার নার্সের ওপর এই গবেষণা চালান গবেষকরা৷ খাবারের তালিকায় সবচেয়ে বেশি ছিল টুনা, স্যালমন, ম্যাকারেল এবং অন্যান্য উচ্চ ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড যুক্ত মাছ৷ দেখা যায়, এহেন খাবারের তালিকা অনুসরণকারীদের মধ্যে যাদের ‘এন্ডোমেট্রিওসিস' ছিল, তাদের সে অসুখের পরিমাণ প্রায় ২২ শতাংশ কমে গেছে৷ উল্লেখ্য, বহু ক্ষেত্রে এই ‘এন্ডোমেট্রিওসিস'ই বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী৷ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পত্রিকা ‘ডেইলি এক্সপ্রেস'এর একটি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এ তথ্য৷

গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষতিকারক ‘ট্রান্সফ্যাট' (যা কিনা রাসায়নিকভাবে ভেজিট্যাবেল ওয়েলে পরিবর্তিত করা হয়) যুক্ত খাবার যেমন - কেক, বিস্কুট, চিপস্ ইত্যাদি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ‘এন্ডোমেট্রিওসিস'এর পরিমাণ ৪৮ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে৷ গবেষকরা জানিয়েছেন, গর্ভাশয়ের কোষগুলো পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে যখন শ্রোণিদেশের সঙ্গে লেগে থাকে, তখন প্রদাহের সৃষ্টি করে এবং এই অবস্থাই পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্বের রূপ নেয়৷

১৯৮৯ সালে এই গবেষণা শুরু হয় এবং দীর্ঘ বারো বছর ধরে এই গবেষণা চালানো হয়৷ গবেষণায় মূলত খাবারের তালিকার সাথে ‘এন্ডোমেট্রিওসিস'এর সম্পর্ক নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়৷ বোস্টনে অবস্থিত হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. স্টেসি মিসমার বলেন, তাঁর গবেষণা শুধুমাত্র এন্ডোমেট্রিওসিস'এর সাথে খাবারের সম্পর্কই ব্যাখ্যা করে না, ‘ট্রান্সফ্যাট' নামের উপাদানের বিষয়েও বিভিন্ন তথ্য দেয় - যা কিনা মোটা হবার একটি বিশেষ কারণও৷

বিশ্বে লক্ষ লক্ষ নারী বন্ধ্যাত্ব জনিত রোগে ভোগে৷ আর তাদের অনেকেই বহুদিন ধরে এই অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে আসেছেন৷ নিজের অথবা নিজ মেয়ের জন্য খুঁজেছেন এ সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায়৷ এবার দেখা যাচ্ছে, এই গবেষণায় উপস্থাপিত খাদ্য তালিকা নিয়মিত মেনে চললে এ রোগ নিরাময়ের পথে কিছুটা সুগম হতে পারে৷ তবে তার আগে, আরও গবেষণার মাধ্যমে উল্লেখিত গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ অবশ্য মিসমার'এর কথায়, এই গবেষণাটি থেকে তাঁরা এটাই উপলব্ধি করেছেন যে, তাঁরা ঠিক পথেই এগোচ্ছেন৷

প্রতিবেদক : আসফারা হক

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ