বন্ধক রাখো সোনা
২২ মে ২০১৩তাই বিপদে আছেন সেখানকার মধ্যবিত্ত আর নিম্নমধ্যবিত্তরা৷ যেমন নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল রহমান৷ তাঁর মাসিক আয় দেড় হাজার সিঙ্গাপুরীয় ডলার৷ তাই তাঁর স্ত্রী খাদিজাকে সংসার চালাতে এখন নিজের সোনার অলংকারগুলো বন্ধক রাখতে হচ্ছে৷ কারণ বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার নেয়ার চেয়ে বন্ধক রেখে জীবন চালানো ভালো বলে মনে করেন তিনি৷
খাদিজার মতো অনেকেরই মনের ভাব এক হওয়ায় বন্ধকি দোকানগুলোর ব্যবসা এখন রমরমা৷ সিঙ্গাপুরে এমন দোকান আছে প্রায় দুশো৷ গত বছর তার আগের বছরের তুলনায় এই খাতে লাভ বেড়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ৷
নিয়ম
সোনা ছাড়াও হিরা ও বিভিন্ন দুর্লভ পাথরের গহনা, অতি পুরনো মডেলের ঘড়ি এসব কিছুও বন্ধক রাখা যায়৷ প্রথমে বন্ধকি দোকানের বিশেষজ্ঞরা দাম নির্ধারণ করেন৷ এরপর প্রথম মাসে এক শতাংশ ও পরের মাস থেকে ছয়মাস পর্যন্ত দেড় শতাংশ হারে সুদ নির্ধারণ করে ঋণ দেয়া হয়৷ নিয়ম অনুযায়ী, ছয়মাসের মধ্যে গহনা ফিরিয়ে নিতে হবে৷ না হলে জরিমানা দিতে হবে৷ তবে জরিমানা এড়াতে হলে ছয়মাস পর আবার নতুন করে আলোচনায় বসতে হবে৷
ব্যাংকের বিকল্প
ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলে অনেকগুলো ফরম পূরণ করতে হয়৷ এছাড়া আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পেতে ও ঋণ ছাড় হতে সময়ও লাগে বেশি৷ এ সব কারণে মানুষজন ব্যাংকের চেয়ে বন্ধকি ব্যবস্থার দিকেই ঝুঁকছে বেশি৷
সরকারের দুশ্চিন্তা
ম্যাকাও আর লাস ভেগাসের পর সিঙ্গাপুরেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুয়ার আসর বসে৷ তাই সরকারের চিন্তাটা সেখানেই৷ তাদের ভয়, ঋণের এমন অবাধ সুযোগের কারণে আবার জুয়ার প্রসার না বেড়ে যায়৷ তাই বন্ধকি খাতের আইনে কোনো সংশোধনী প্রয়োজন কি না – তা নাগরিকদের কাছে জানতে চেয়েছে সরকার৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)