বনে বনে চুম্বন...
চুমু খাওয়াটা কোত্থেকে এলো, নৃতত্ববিদরাও জানেন না৷ জন্তুজানোয়াররা মাঝেমধ্যে চুমু খাচ্ছে বলে মনে হলেও, আসলে ওরা অত আবেগের ধার ধারে না – ওদের জীবনসংগ্রামও হয়তো আমাদের চেয়ে কিছুটা শক্ত৷
বাঘ একা থাকতে ভালোবাসে, কিন্তু সিংহ কিংবা চিতাবাঘ?
বাঘের মাসি বেড়ালের ‘ভাগ্নে’ সাধারণত একাই থাকে৷ অপরদিকে সিংহ বা চিতারা ঠিক দঙ্গলে না থাকলেও, একা থাকে না৷ বিশেষ করে চিতাবাঘেরা পরস্পরের সঙ্গে দেখা হলে, গালে গাল ঘষে, একে অপরের মুখ চেটে তাদের খুশি দেখায়৷ একে চুম্বন বললে দোষ কী?
হাতির চুমু!
না, চুমু খেতে গেলে দাঁত, শুঁড় ইত্যাদিতে জড়িয়ে, গুঁতো লেগে এক কেলেংকারি ব্যাপার হবে৷ কাজেই ছবিতে যা দেখছেন, সেটা দুই দাঁতালের রেষারেষি বা হাতাহাতি৷
গলাগলি, নাকি গালাগালি?
মার্কিন মুলুকের ‘মার্মট’ প্রাণীটি দেখতে অনেকটা কাঠবিড়ালির মতো৷ ছবি দেখলে মনে হবে যেন ভীষণ ঝগড়া চলেছে৷ আসলে কিন্তু মার্মটরা এভাবেই পরস্পরকে স্বাগত জানিয়ে থাকে – নাকে নাক ঘষাও অস্বাভাবিক কিছু নয়৷
চুমু নয়, যুদ্ধ
ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে অ্যাকোরিয়ামের এই গৌরামি মাছগুলো কিন্তু চুমু খাচ্ছে না, কাজিয়া চালাচ্ছে৷ অথচ দেখলে চুমু ছাড়া আর কিছু ভাবার উপায় নেই৷ চীনে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে গৌরামি মাছ উপহার দেবার চল আছে৷
আমরা খরগোশ দলে দলে...
...চুমু খাই ঐ গাছের তলে৷ না স্যার, গাছ দেখলেন কোথা? যেটা দেখছেন, সেটা হলো নাকে নাক লাগিয়ে শুঁকে দেখা৷ ইংরেজিতে আমাদের মতো মেঠো খরগোশদের বলে ‘হেয়ার’, অর্থাৎ ‘ব়্যাবিট’ নয়, যারা আমাদের চেয়ে অনেক ছোট৷ আর ওরা আমাদের মতো দৌড়তেও পারে না৷ আমাদের স্পিড কতো জানেন? ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার৷ পাল্লা দেবেন নাকি?
সিলমাছেরাও শুঁকে দেখে...
জীবজগতের অধিকাংশ জীব নাকে নাক ঠেকিয়ে বা ঘষে আলাপ-পরিচয় করে ও সাদর সম্ভাষণ বা প্রেম-পীরিতি ইত্যাদি জানায়৷ সিলমাছেরাও তার ব্যতিক্রম নয়৷ ওটাকে চুম্বন বললে ভুল করা হবে৷
সবচেয়ে বড় শুশুক
ইংরেজি নাম ‘অর্কা’, খুবই বিপজ্জনক জীব, এরা পেঙ্গুইনদের তাড়া করে ধরে খায়৷ বিশ্বের বৃহত্তম ‘ডলফিন’ বা শুশুক গোত্রীয় প্রাণী এই অর্কা৷ এরা মানুষ মেরেছে ও জেলেনৌকা ধাওয়া করেছে৷ ছবিতে এরা চুমু খাচ্ছে, নাকি মারামারি, কামড়কামড়ির প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা কে বলবে?
ঠুঁটো চুমু
পাখিরা যে চুমু খেতে পারে না, তার কারণ তাদের শক্ত ঠোঁট –ঠোঁট সুচালো হলে আবার খোঁচা লাগার বিপদ আছে৷ তবে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে আদর বা ভালোবাসা জানাতে কোনো অসুবিধে নেই৷ আমরা এটাকে ঠুঁটো চুমু বলতে পারি৷
তোতাপাখির প্রেম
তোতারা একদিকে খুঁতখুঁতে; জীবনসঙ্গিনী বা জীবনসঙ্গী বাছতে তারা অনেক সময় নেয়৷ অন্যদিকে আবার তারা বাকি জীবনটা একসঙ্গে থাকে – তোতাদের সমাজে ডিভোর্স নেই কিনা৷ আবার বিয়েই শুধু নয়, তাদের প্রেমও যেন সারাজীবন টিকে থাকে৷ একে কি টেকসই দাম্পত্য বলবেন?