বড়দিনকে ঘিরে জার্মানদের অন্যরকম কিছু কথা
বড়দিন উপলক্ষ্যে জার্মানদের কেনাকাটা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, ক্রিসমাস ট্রি, খাওয়া-দাওয়া ছাড়াও রয়েছে আরো কিছু বিষয়৷ আর তারই কিছু থাকছে আজকের ছবিঘরে৷
‘ক্রিসমাস স্টার’
জার্মানিতে বড়দিনের আগে থেকেই ফুলের দোকান এবং সাধারণ সুপার মার্কেটগুলোয় ‘ভাইনাক্টসস্ট্যার্ন’ বা ‘ক্রিসমাস স্টার’, অর্থাৎ লাল টকটকে তারার মতো দেখতে ফুলগাছগুলো যেন হাত ছানি দিয়ে ডাকে৷ একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে জার্মানির শতকরা ৮৩টি বাড়িতে দৃষ্টিকাড়া এই ‘ভাইনাক্টসস্ট্যার্ন’ স্থান পায়৷ আর হ্যাঁ, ২০১৫ সালে বড়দিনের সময় জার্মানির বিভিন্ন দোকানে মোট ৩ কোটি ৪০ লাখ ‘ক্রিসমাস স্টার’ সাপ্লাই দেয়া হয়েছিল৷
বড়দিনে উপহার
এক সমীক্ষায় জানা গেছে, জার্মানিতে তিন-চতুর্থাংশ মানুষেরই নাকি বড়দিনের ‘সারপ্রাইজ উপহার’ পছন্দ হয় না৷ যদিও অনেকেই অন্যের মন রাখতে উপহারটি ‘খুব পছন্দ হয়েছে’ বলে জানান৷ জানা যায়, শতকরা মাত্র ২১ জন সত্য কথা, অর্থাৎ উপহারটি পছন্দ ‘না’ হওয়ার কথা মুখ ফুটে প্রকাশ করেন৷ এই সত্যবাদীদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ৷ সমীক্ষাটি করেছে অনলাইনে কেনা-বেচার প্ল্যাটফর্ম ‘ই-বে’৷
কেক-বিস্কুট তৈরি সম্পর্ক মজবুত করে
বাড়ির শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে বড়দিনের বিস্কুট, কেক বানানোর একটা রেওয়াজ রয়েছে জার্মানদের মধ্যে৷ ‘‘বড়দিনকে উপলক্ষ্য করে কেক-বিস্কুট বানানো শুধু খাওয়ার জন্য নয়৷ পরিবারের মা, নানি বা দাদির সাথে রান্নাঘরে হাসি-ঠাট্টার মধ্য দিয়ে শিশুদের মনের কথা জানারও এটা একটি বড় সুযোগ৷’’ এ কথা জানান শিশু-কিশোর সাইকোথেরাপিস্ট গুন্ডুলা গ্যোবেল৷
ঔষধি মসলা
গ্যোবেল আরো জানান, বড়দিনের কেক-বিস্কুটে ব্যবহার করা হয় এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, আদার মতো নানারকম গরম মসলা৷ বলা বাহুল্য, এ সমস্ত মসলায় রয়েছে নানা ঔষধি উপাদান৷ যেমন দারচিনি শরীর গরম রাখে, এলাচ হজমে সাহায্য করে আর লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা দূর করে৷ তাই এ সব তৈরি করার সময় নানা দরকারি তথ্য শিশু-কিশোররা জেনে নিতে পারে৷ তাই আজকের এই যান্ত্রিক জীবনেও এই ঐতিহ্যটি ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন এই শিশু-কিশোর বিশেষজ্ঞ৷
পকেটমার
বড়দিন মানেই নানা আয়োজন, যার জন্য প্রয়োজন বাড়তি অর্থের৷ তাই বড়দিনের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই ট্রেন, ট্রাম স্টেশন বা বড় জায়গাগুলোতে মাইকে ‘পকেটমার থেকে সাবধান’ থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়৷ কিন্তু এভাবে সাবধান করে দেওয়া সত্ত্বেও পকেটমারের সংখ্যা শতকরা ৭ ভাগ বেড়ে গিয়ে এ বছর দাড়িয়েছে ১৬৮,১৪২৷ জার্মান পুলিশের অপরাধ বিষয়ক বিভাগ থেকে পাওয়া গেছে পরিসংখ্যানটি৷