1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক: ট্রেলারেই হতাশার চাপে শ্যাম বেনেগাল

জনি হক কান থেকে
২৪ মে ২০২২

‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন’ ছবির বহুল প্রতীক্ষিত ট্রেলার প্রকাশ হওয়ার পর থেকে আলোচনা-সমালোচনা চলছে৷ ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওটি নিয়ে হতাশা ছড়ালেও পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ও কলাকুশলীরা অবশ্য জিইয়ে রাখছেন আশা৷

https://p.dw.com/p/4Bm1G
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের ট্রেলার দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকে ছবি: NFDC

কান চলচ্চিত্র উৎসবের বাণিজ্যিক শাখা মার্শে দ্যু ফিল্মের অংশ হিসেবে ভারতীয় প্যাভিলিয়নে গত ১৯ মে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন'-এর ট্রেলার প্রকাশিত হয়৷ তারপর থেকেই ভিডিওতে ব্যবহৃত ভিজ্যুয়াল এফেক্টস, মেকআপ-গেটআপ ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে৷ দক্ষিণ ফরাসি উপকূলের সীমানা ছাড়িয়ে বাংলাদেশেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা৷ 

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেওয়ার সময় বঙ্গবন্ধুর চোখে চশমা ছিল না৷ কিন্তু ট্রেলারে ৫৯ সেকেন্ডে দেখা যায় তার চরিত্রে রূপদানকারী অভিনয়শিল্পী চোখে চশমা রেখেই সেই ভাষণ দিচ্ছেন৷ ট্রেলারের ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডে যে পতাকা দেখা যায় তা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিল না৷ ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে যুদ্ধবিমানের যে ভিজ্যুয়াল এফেক্টস তার মান নিয়ে হাসাহাসি করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ৷ এছাড়া ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে বঙ্গবন্ধু চরিত্রের মুখে ‘বাংলাদেশ-ভারত ভাই ভাই' সংলাপ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ৷ সব মিলিয়ে যে প্রশ্নটা বড় হয়ে উঠেছে তা হলো- দুই দেশের প্রযোজনায় বিশাল বাজেটে নির্মিত ছবির ট্রেলার কেন এত নিম্নমানের হবে? ছবিটি নির্মাণে পর্যাপ্ত গবেষণার অভাব স্পষ্ট বলে মন্তব্য অনেকের৷ এছাড়া গল্পটি ভারতকেন্দ্রিক বলেও আগাম অনুমান অনেকের৷

ট্রেলার নিয়ে সমালোচনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছবিটির পরিচালক শ্যাম বেনেগাল৷ ট্রেলার নিয়ে এতটা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখে বিস্মিত তিনি৷ ভারতের দ্য টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের দর্শকরা কেন হতাশ কিছুতেই বুঝতে পারছি না৷ কানে ট্রেলারটি সুন্দরভাবেই পরিবেশন করা হয়েছে৷ বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ও তাদের রাষ্ট্রদূত ছিলেন অনুষ্ঠানে৷''

শ্যাম বেনেগাল আরো বলেছেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু নিজের পরিবারের প্রতি নিবেদিত ছিলেন৷ ট্রেলারে তাকে সেভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে৷ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কথোপকথনের দৃশ্য আছে৷ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে কারাবন্দি থাকার সময় ছাড়া তিনি পরিবারের সঙ্গেই থেকেছেন৷ এ কারণেই বুঝতে পারছি না নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া কেন দেখাচ্ছে মানুষ৷'' 

শুধু ট্রেলার দেখে কোনো মন্তব্য করা যায় না: সোহানুর রহমান সোহান

দ্য টেলিগ্রাফকে ৮৭ বছর বয়সি ভারতীয় পরিচালক বলেন, ‘‘ছবিটি এখনো দর্শকরা দেখেনি৷ ৯০ সেকেন্ডের একটি ট্রেলার দেখে কোনো ছবি নিয়ে মন্তব্য করতে পারে না কেউ৷''

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানও শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে একমত৷ শুধু ট্রেলার দেখে মন্তব্য করতে চান না তিনি৷ ডয়েচে ভেলেকে বাংলাদেশের এই নির্মাতা বলেন, ‘‘ছবি না দেখা পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করবো না৷ শুধু ট্রেলার দেখে কোনো মন্তব্য করা যায় না৷ আগে ছবিটি দেখবো, তারপর আলোচনা বা সমালোচনার প্রয়োজন হলে করবো৷ এখন বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, কারণ, ছবির কিছু অংশ কেটে ট্রেলার বানানো হয়৷ এটিকে ছবির বিজ্ঞাপন বলা যেতে পারে৷ আর এই বিজ্ঞাপন দেখে কোনো মন্তব্য করা যায় না৷ পুরো ছবি দেখে তারপরেই মন্তব্য করবো৷''

‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন' ছবিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ৷ কানসৈকতে বসে ডয়চে ভেলের কাছে তিনি দাবি করেন, ‘‘আমি অফিসিয়ালি আপনাকে জানাতে পারি, যে ট্রেলারটি সবাই দেখেছে সেটি কেবলই কান চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য ছিল৷ একটু খেয়াল করলে দেখবেন, ছবিটির মুক্তির সময় পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ আরো চার মাস পরে৷ সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আমরা চার মাস আগে অফিসিয়াল ট্রেলার প্রকাশ করবো না৷ যেহেতু কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো বৈশ্বিক একটি আয়োজনে অংশগ্রহণের সুযোগ এসেছে, তাই ট্রেলারটি খুব অল্প সময়ে তৈরি করতে হয়েছে৷ কারণ, দর্শককে বুঝতে হবে এখন কিন্তু ছবিটি পোস্ট প্রোডাকশনে আছে৷ এডিটিং প্যানেলের কর্মযজ্ঞ চলছে রাত-দিন৷ এর মাঝে ট্রেলারটি নিয়ে আমরা কানে অংশগ্রহণ করেছি মাত্র৷'' 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির অসামান্য কর্মময় জীবন, সংগ্রাম ও দর্শনকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে কান উৎসবের বৈশ্বিক মঞ্চ ব্যবহার করতে চেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা৷ আরিফিন শুভ যোগ করলেন, ‘‘মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে কান উৎসবে ট্রেলার উন্মোচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷ আমার কথা যদি জানতে চান, ভিসা পাওয়ার পর মাত্র চার ঘণ্টা সময় পেয়েছি বিমানে ওঠার৷ আমাদের লক্ষ্য ছিল কান উৎসবের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সারাবিশ্বে ফিল্ম প্রফেশনালদের সামনে তুলে ধরা, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা হয়েছিল তা-ও সবার সামনে তুলে ধরা৷'' 

আরিফিন শুভ আশ্বস্ত করেছেন, ‘‘মুক্তির এক-দুই মাস আগে অন্যান্য ছবির ট্রেলার যেভাবে প্রকাশিত হয়, সেভাবেই ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন'-এর একটি অফিসিয়াল ট্রেলার আসবে৷ হয়ত মুক্তির মাসখানেক আগে সেটি দেখাতে পারবো বলে আশা করছি৷ তখন অনেকের অনেক দুর্ভাবনা দূর হয়ে যাবে৷''

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের পরিণত বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা৷ তিনি ট্রেলারের যেসব দিক নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে সেগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি৷ এর কারণ হিসেবে ডয়েচে ভেলেকে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘‘মেকআপ, ভিএফএক্স কিংবা কারিগরি দিকগুলো আমার ডিপার্টমেন্ট না৷ এর উত্তর পরিচালক ও তার কারিগরি টিম দিতে পারবেন৷ আমি শুধু আমার অভিনয় নিয়ে বলতে পারি৷ ছবিটিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের চরিত্রে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি৷ বাকিটা দর্শক দেখবে, তাহলেই হবে৷''

এদিকে ট্রেলার নিয়ে তুমুল সমালোচনা হলেও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মনে করেন ট্রেলারটি চমৎকার হয়েছে৷ কানসৈকতে বসে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘খুব কম সময়ে মানুষকে আকৃষ্ট করার মতো রসদ আছে এতে৷ ছবিটি প্রজন্মের পর প্রজন্মে ডকুমেন্টারি হয়ে থাকবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে৷ একই সঙ্গে ছবিটি পৃথিবীর সমস্ত মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে৷''

তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিতে, ‘‘বঙ্গবন্ধুর জীবন, সংগ্রাম ও মানুষের জন্য ভালোবাসা উঠে এসেছে ছবিটিতে৷ এর মাধ্যমে একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এগিয়ে চলা একটি সংগ্রামী জাতির ইতিহাস জানা যাবে৷''

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিশাল এক আবেগের নাম৷ তার ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছেন আরিফিন শুভ? ডয়চে ভেলেকে তিনি জানান, ‘‘আমাদের ওয়ার্কশপ হয়েছে৷ বিশেষ করে আমার জন্য কয়েকজন মানুষকে নিয়ে একটা প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল, যারা বঙ্গবন্ধু এবং তার পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবন খুব ভালো করে জানেন৷ মোটা দাগে বললে তাকে নিয়ে যেসব বই আগে প্রকাশিত হয়েছে সেসব এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে একটা আইডিয়া পেয়েছি৷ এছাড়া তাকে নিয়ে অনেক কিছু শুনেছি৷ ওই যে বললাম, একটা প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল যারা আমাকে বিস্তরভাবে তার জীবন ব্যাখ্যা করেছেন৷ আরেকটি হচ্ছে, আর্কাইভে তার ফুটেজ দেখেছি৷ এই তিনভাবে মূলত প্রস্তুতিটা ছিল আমার৷''

বিয়ের পর থেকে রাজনৈতিক জীবনে চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে৷ দীর্ঘ সংগ্রামমুখর রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবাস করেছেন তিনি৷ তার কারাবাসের সময়ে নানা প্রতিকূলতার মাঝে সংসার চালাতে হয়েছে শেখ ফজিলাতুন্নেসাকে৷ সাদামাটা এক পরিবারের গৃহিণী থেকে রাষ্ট্রনায়কের স্ত্রী পর্যন্ত উত্তরণের এই পথ-পরিক্রমা মোটেই সহজ ছিল না৷ এমন এক নারীর চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতির কথা জানাতে গিয়ে নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু জানা আছে৷ আমরা বিভিন্ন অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে জানতে পারি৷ তার সম্পর্কে অনেক তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও আছে৷ তার সম্পর্কে জানা অনেক সহজ৷ কিন্তু শেখ ফজিলাতুন্নেসা সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই অজানা৷ তাই তার সম্পর্কে জানতে আমাকে অনেক বই পড়তে হয়েছে, পত্র-পত্রিকা ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে৷ আর্কাইভে তাকে নিয়ে অনেক তথ্য আছে, সেগুলো গবেষণা করতে হয়েছে৷ যেহেতু তার কোনো ভিডিও আমাদের কাছে নেই এবং সবচেয়ে বড় সহায়ক ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা৷ তাদের সঙ্গে আমরা একটি সেশনে বসার সুযোগ পেয়েছি৷ তখন তাদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি৷ তাদের পরিবার, বঙ্গবন্ধু এবং বিশেষ করে ফজিলাতুন্নেসা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি৷ এগুলো আমাদের অনেক সাহায্য করেছে৷'' 

Bangladesch | Filmtrailer über Sheikh Mujibur Rahman stößt auf Kritik
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয় করা দুই শিল্পীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদছবি: Johny Hoque/DW

ট্রেলার নিয়ে সমালোচনা হলেও ছবিটির কিছু ভালো দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিশা ও আরিফিন শুভ৷ তিশা বলেন, ‘‘ছবিটির সবচেয়ে মজবুত দিক আমি বলবো, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে সবাই সবকিছু জানেন৷ কিন্তু তার ব্যক্তিগত ও সংসার জীবন সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু জানে না৷ ছবিটিতে বঙ্গবন্ধু এবং ফজিলাতুন্নেসার সংসার জীবনের অনেক স্তর ফুটে উঠবে৷ বলা যায়, অজানা অনেক কিছুই মানুষ জানতে পারবে৷''

এ প্রসঙ্গে আরিফিন শুভ বলেন, ‘‘শিল্পী হিসেবে বলবো না, ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এই ছবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বাংলাদেশিসহ পৃথিবীর বাঙালিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দিকটা মূলত জানেন, তা-ও বিস্তর জানা নেই তাদের৷ ছবিটিতে তার রাজনৈতিক পরিভ্রমণের বিস্তর ব্যাখ্যা আছে৷ তার কৈশোর থেকে শুরু করে রাজনীতিতে আসার ভিত্তি কী ছিল তা আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ পৃথিবী তথা বাংলাদেশিরা টুঙ্গিপাড়ার একটি কিশোরের জার্নিটা দেখতে পারবেন, এটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷ তার রাজনৈতিক দিকটা তো আমরা অনেকটাই জানি৷ কিন্তু এর ভিত্তি সম্পর্কে আমরা ততটা জানি না৷ তাই এটি আমার কাছে এজন্য অনেক বেশি আকর্ষণীয়, মূল্যবান ও স্পেশাল৷ এখানে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাকে আমরা দেখবো না; পাশাপাশি একজন বাবা, একজন স্বামী, একজন ভাই, একজন সহকর্মী, একজন রাজনীতিবিদ, খুবই সাধারণ একজন বাঙালি পরিবারের মানুষকে দেখবো৷ এসব দিক পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ জানে না৷ যারা জানেন তারা হয়ত গবেষণা করেন৷ সাধারণ মানুষ কিন্তু জানে না৷ আমার মনে হয় সাধারণ মানুষের বোধহয় তার রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার ভিত্তিটা জানা দরকার৷''

‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন' ছবিতে শেখ হাসিনার তারুণ্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন নুসরাত ফারিয়া এবং কিশোরী শেখ হাসিনার ভূমিকায় আছেন ওয়ানিয়া জারিন আনভিতা৷ শেখ ফজিলাতুন্নেসার (রেনু) কম বয়সি চরিত্রে দেখা যাবে প্রার্থনা দীঘিকে৷ শেখ রেহানার ভিন্ন দুটি বয়সের চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর ও সামন্ত রহমান৷ এছাড়া চঞ্চল চৌধুরী ও খায়রুল আলম সবুজ (বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান), দিলারা জামান ও সঙ্গীতা চৌধুরী (বঙ্গবন্ধুর মা সাহেরা খাতুন), শরীফ সিরাজ (শেখ জামাল) এবং নাজিবা বাশারকেও (সুলতানা কামাল খুকী) দেখা যাবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের ভূমিকায়৷

এছাড়া জাতীয় চার নেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেওয়ান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সায়েম সামাদ (সৈয়দ নজরুল ইসলাম), রিয়াজ (তাজউদ্দীন আহমদ), সমু চৌধুরী (কামারুজ্জামান) ও খলিলুর রহমান কাদেরি (মনসুর আলী)৷ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রূপদান করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ (আবদুল হামিদ খান ভাসানী), তৌকীর আহমেদ (হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী), সিয়াম আহমেদ (শামসুল হক), শহীদুল আলম সাচ্চু (এ.কে. ফজলুল হক), গাজী রাকায়েত (আবদুল হামিদ), সাব্বির হোসেন (তোফায়েল আহমেদ), তুষার খান (তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া), খন্দকার হাফিজ (মেজর জেনারেল ওসমানী), মিশা সওদাগর (জেনারেল আইয়ুব খান), জায়েদ খান (জেনারেল টিক্কা খান), ফজলুর রহমান বাবু (খন্দকার মোশতাক আহমেদ) ও এলিনা শাম্মী (খালেদা জিয়া)৷ আরো কিছু চরিত্রে দেখা যাবে শতাব্দী ওয়াদুদ, রোকেয়া প্রাচী, আবুল কালাম আজাদ, আশিউল ইসলাম, হাসান দ্বীপ ও সুদীপ সারাঙ্গীকে৷

‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন' ছবিতে শুধু বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে টেলিগ্রাফকে শ্যাম বেনেগাল বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষদের উচ্চারণ কিছু শব্দের ক্ষেত্রে একটু আলাদা৷ নিজেদের বাংলা ভাষা নিয়ে তারা ধন্য৷ এজন্য শুধু বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীদের নিয়েছি, যাতে তারা নিজেদের বঙ্গবন্ধুর কাছের ভাবতে পারে৷''