বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়
১৫ আগস্ট ২০১০স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক ঘাতকদের ফিরিয়ে আনতে সব উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷
'৭৫-এর ১৫ই আগষ্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে ঘাতকরা৷ ঐ রাতে তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকেই হত্যা করা হয়৷ দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা৷
বিশ্লষকরা মনে করেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল৷ কুটনীতিক ফারুক চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত না থাকলে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা বিদেশে আশ্রয় পেতনা৷ এমনকি তারা এখনো বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর ড. কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করা সম্ভব নয়৷ ঘাতকরা এটা বুঝতে পারেনি৷ তাই ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে দেশের সাধারণ মানুষ, তরুণ-যুবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন৷
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী-বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ভোরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান৷ তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শ্রদ্ধা জানান, দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মি এবং সাধারণ মানুষ৷ সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশারাফুল ইসলাম জানান, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক ৬ আসামিকে দেশে ফেরত আনার সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার৷ তবে তারা বিদেশে থাকায় কিছু আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হচ্ছে৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া যান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর৷ টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বঙ্গবন্ধু৷ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার