ফ্রান্সে শেয়ার জালিয়াতির বিচার শুরু
৯ জুন ২০১০প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ইউরো'র ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ার ট্রেডিং-এর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে৷ যে ব্যাংকের হয়ে তিনি এ কাজ করেছেন তার নাম সোসিয়েটে জেনারেলে৷ এটি ফ্রান্সের শীর্ষ তিনটি ব্যাংকের একটি৷ কেরভিয়েলের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ- তিনি লুকিয়ে করেছেন এই ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ার ট্রেডিং-এর কাজ৷
তবে কেরভিয়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবই জানতেন৷ কিন্তু এই ট্রেডিং-এ লাভের পরিমাণ খুব বেশি হওয়ায় তাঁরা কিছু বলতেন না৷ কেরভিয়েলের দাবি, এটা এমনই এক কাজ, যা একদিনের বেশি লুকিয়ে করা সম্ভব নয়৷ আর তাঁর আইনজীবী আদালতে কেরভিয়েলের অফিসের একটি ছবি দেখিয়ে বলেন, যেখানে বসে কেরভিয়েল কাজ করতেন সেখানে লুকিয়ে কোন কিছু করা সম্ভব নয়৷ কারণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁর কাছাকাছিই বসতেন৷ এছাড়া কম্পিউটারের সাহায্যে কে কী কাজ করছেন, তাও দেখা সম্ভব ছিল৷
অপরদিকে ব্যাংকের আইনজীবী আদালতকে একটি ভিডিও দেখিয়ে বলেন, ঐ অফিসে সবাইকে কয়েকটি কম্পিউটার স্ক্রিন নিয়ে কাজ করতে হয়৷ আর সবাইকে খুবই ব্যস্ত থাকতে হয়৷ তাই আরেকজন কী করছে না করছে তা দেখার সময় নেই কারও৷
এই জালিয়াতির ঘটনা প্রথম ধরা পড়ে ২০০৮ সালে৷ তখন কেরভিয়েলকে ৩৮ দিন জেল খাটতে হয়েছিল৷ এখন আবার বিচার শুরু হয়েছে৷ মোট ৪০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হবে৷ জানা গেছে, আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত মামলার শুনানি চলবে৷ এরপর রায় ঘোষণা করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে বলা হচ্ছে৷
জুয়াচুরির ইতিহাসের বৃহত্তম অর্থের এই অপরাধ প্রমাণিত হলে কেরভিয়েলকে কমপক্ষে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেওয়া ছাড়াও জরিমানা করা হবে কমপক্ষে ৩৭৫,০০০ ইউরো৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়