1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে বিক্ষোভ পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, আজই ভোট

২২ অক্টোবর ২০১০

এই নয়দিনেও ফ্রান্স পরিস্থিতির কোন সুরাহা হয়নি৷ এদিকে সরকার চলমান বিক্ষোভ এবং অবরোধের প্রতিকারের ক্ষেত্রে কঠোর মনোভাব দেখানোর পর পুলিশ শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের প্রতি আরো বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/PlQM
Frankreich Proteste
ফ্রান্সে এখন পুলিশ প্রহরাছবি: AP

পেনশনের বয়স বাড়ানোর পক্ষে নিকোলা সারকোজি অনড় রয়েছেন৷ শ্রমিক ইউনিয়ন কমপক্ষে আরো দু'দিনের ধর্মঘটে যাচ্ছেন৷ ইউনিয়ন জানিয়েছে আগামি দুই দিন ধর্মঘট ছাড়াও সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং শোভাযাত্রা আরো সপ্তাহখানেক চলবে৷ তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, তেল সরবরাহের যে সম্ভাব্য সময়টি তারা জানিয়েছিলেন পরিস্থিতির কারণে বাস্তবে বিষয়টি আরো পেছোবে৷

আজ শুক্রবার ফরাসি সিনেটে অবসর ভাতার বয়স সংস্কারের উদ্যোগটি নিয়ে ভোট হওয়ার কথা৷ শ্রমমন্ত্রী শুক্রবার জানিয়েছেন, আগামি কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেনেটের ভোট হবার কথা৷ যার অর্থ, আগামী সপ্তাহেই এটি আইন হিসেবে আসছে৷ দ্রুততম সময়ে আইন অনুমেদন করার আরেকটি বিষয় তাঁর কথাতে স্পষ্ট৷ তিনি বলেছেন, আইন আইনই৷ ভোটে যে মুহূর্তে আইনটি অনুমোদন পাবে৷ তখন থেকেই সব আন্দোলন আর বিক্ষোভ থামানো উচিৎ৷

Frankreich Proteste Oktober 2010 Flash-Galerie
পুলিশের অ্যাকশনছবি: AP

জানা গেছে, আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা ফরাসি পুলিশ মেলুনের কাছে একটি তেলের ডিপো অবরোধকারী বিক্ষোভকারীদের হঠাতে টিয়ারগ্যাস ছুঁড়েছে৷ জানা গেছে, পুলিশের আক্রমণে কমপক্ষে ৩ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন৷

বৃহস্পতিবারের সহিংস ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে লক্ষ্যে দাঙ্গা পুলিশ গরম পানির কামান নিয়ে টহল দিচ্ছে৷ এদিকে অবরোধ ছেড়ে কাজে যাওয়ার জন্য প্যারিস অঞ্চলের তেল শোধনাগারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ সম্বলিত চিঠি ইতোমধ্যেই শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ সেখানে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে শ্রমিকরা অবরোধ না তুলে নিলে এবং কাজে না ফিরলে তাদেরকে জেলে ভরা হবে৷

ফরাসি সরকারের সাম্প্রতিক এই দমন নীতি এবং পুলিশের আক্রমণাত্মক আচরণে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে ফ্রান্সের ইউনিয়ন৷ তাদের বক্তব্য, নিকোলা সারকোজির সরকার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে৷ আর সংবিধানে উল্লিখিত আন্দোলনের অধিকার হরণ করা একার্থে সংবিধানের লঙ্ঘন৷

শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বার্না থিবো বলেছেন, এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ একটি আচরণ এবং রাজনৈতিকভাবে এটি অনৈতিক৷ কারণ সংবিধানে আন্দোলনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে৷

প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে ফ্রান্সের এই উত্তাল বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতিটি ঠিক এমন সময়ে ঘটলো যখন অধিকাংশ ফরাসি নাগরিকই নভেম্বরের ১ তারিখের ছুটিকে নিয়ে সপ্তাহান্তের ভ্রমণের জন্য অপেক্ষা করছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার এই প্রচেষ্টা আসলে সকলের স্বার্থের কথা ভেবেই৷ এদিকে এই শুক্রবারের পর থেকে ফ্রান্সের স্কুলগুলোতেও ছুটি শুরু হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আরো জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে তাদের আরো পরিকল্পনা হাতে রয়েছে৷

ধারণা করা হচ্ছে সংসদে রক্ষণশীল শিবিরের পাল্লাভারি হওয়ায় এই আইনটি অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা আসবে না৷ ফলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলেই বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য