1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সমাবেশ

১১ নভেম্বর ২০১৯

পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস৷ রোববার প্যারিসে ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে এক সমাবেশে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3SpMd
ছবি: Imago Images/PanoramiC/F. Pestellini

পিউ রিসার্চের ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮.৮ শতাংশ মুসলমান৷ সংখ্যার হিসেবে তা প্রায় ৫৭ লাখ ২০ হাজার জন৷ ‘ইফপ’ নামের এক সংস্থার জরিপ বলছে, ফ্রান্সের ৪০ শতাংশের বেশি মুসলমান ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন৷

এদিকে, ফ্রান্সের ৮৪ বছর বয়সি সাবেক এক ডানপন্থি অ্যাক্টিভিস্ট সম্প্রতি একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছেন৷ এতে দুজন আহত হয়েছিলেন৷

কয়েকটি বামপন্থি সংগঠন ও গণমাধ্যমের উদ্যোগে রবিবারের সমাবেশটি আয়োজিত হয়৷ ‘অকারেন্স’ নামের একটি সংগঠন বলছে, এতে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন৷ অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা নির্ধারণ করতে এএফপিসহ কয়েকটি গণমাধ্যম অকারেন্সকে দায়িত্ব দিয়েছিল৷

একটি গাড়ি কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করা ২৯ বছর বয়সি নারী আসমা ইউমোসিদ নেকাব পরে সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ইসলাম ও পর্দা করা নারীদের সম্পর্কে ইদানীং অনেক বাজে কথা শোনা যায়৷’’

নাদজেত ফেলা নামের এক নার্স বলছেন, তিনি আলজেরিয়ায় নেকাব পরার চাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন৷ রবিবারের সমাবেশেও তিনি ছিলেন৷ ফেলা বলেন, ‘‘আমি নেকাব না পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিন্তু যারা এটা পরেন তাদের আলাদা করে দেখার বিষয়টি আমাকে আহত করে৷’’

প্যারিসের পাশাপাশি মার্সেই শহরেও বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেখানে কয়েকশ’ মানুষ অংশ নেন৷

সমাবেশের সমালোচনা

সরকার ও ডানপন্থি দলগুলো রবিবারের সমাবেশের সমালোচনা করেছে৷ আয়োজকদের প্রতি মৌলবাদী ইসলাম কিংবা সালাফিস্ট গোষ্ঠীর সমর্থন রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে৷ যেমন ‘কালেক্টিভ অ্যাগেনস্ট ইসলামোফোবিয়া ইন ফ্রান্স’ নামের সংগঠনটির সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে পরিচিত মুসলিম ব্রাদারহুডের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷

লিঙ্গসমতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মারলেন শিয়াপা বলেছেন, রবিবারের সমাবেশ ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ার বেশে' আসলে ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ৷ ফ্রান্সে ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে যে-কোনো ধর্মকে সমালোচনা করার অধিকারকেও বোঝায়৷

প্রতিমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পালটা যুক্তি হিসেবে সমাবেশে অংশ নেয়া কয়েকজন ‘ধর্মের সমালোচনার প্রতি হ্যাঁ, তবে এর বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে ঘৃণার বিরুদ্ধে না’ শীর্ষক প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন৷

মারলেন শিয়াপা ছাড়াও ইকোলজি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন সমাবেশের সমালোচনা করে বলেছেন, এটি একজন মানুষকে আরেকজনের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে৷

এদিকে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমানুয়েল মাক্রোঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চরম ডানপন্থি দলের নেতা মারি ল্য পেন রবিবারের সমাবেশের সমালোচনা করেছেন৷ টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘ফ্রান্সে ইসলামবিদ্বেষের চেয়ে মৌলবাদী ইসলাম অনেক বেশি মুসলমানকে হত্যা করেছে৷ আপনারা যে কীকরম ভুয়া, এই তথ্য তার প্রমাণ৷’’

জেডএইচ/কেএম (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স, কেএনএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য