ফ্রাংকফুর্টে যা দেখতে পাবেন
আকাশছোঁয়া অট্টালিকা, জার্মানির গণতন্ত্রের সূতিকাগার, অর্ধশত জাদুঘর, গ্যোয়েটের জন্মভূমি, মাইন নদীসহ নানা কারণে বিখ্যাত জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট শহরটি৷ ব্যাংক, বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা মিলিয়ে দেশটির অন্যতম আধুনিক শহরও এটি৷
সুউচ্চ ভবন
জার্মানির আকাশছোঁয়া সব অট্টালিকার শহর ফ্রাংকফুর্ট৷ সবচেয়ে উঁচু ভবনটি কমার্স ব্যাংক টাওয়ার৷ উচ্চতা ২৫৯ মিটার৷ সব মিলিয়ে এমন ৫৩০টি অট্টালিকা আছে শহরটিতে, নির্মিত হচ্ছে আরো৷
পুরাতন শহর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে গোটা ফ্রাংকফুর্টই বলতে গেলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়৷ রাতারাতি সেই শহরটিকে নতুন করে নির্মাণ করা হয়৷ ২০১২ সালে এই ভবনগুলোকে পুরাতন মডেলের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে৷ ২০১৮ সালে এই ‘পুরাতন শহরটি’ অবমুক্ত করা হয়েছে৷
সেইন্ট পল চার্চ
১৮৪৮-৪৯ সালে জার্মান বিপ্লবের সময় সেইন্ট পল চার্চে প্রথম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বৈঠক বসেছিল৷ জার্মানির প্রথম গণতান্ত্রিক সংবিধানটিও এখানে প্রণীত হয়েছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে চার্চটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়৷ ১৯৪৮ সালে সেটি পুনরায় নির্মাণ করা হয়৷ এখনও জার্মানির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে দেখা হয় স্থাপনাটিকে৷ তবে ভবনটি চার্চের বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রদর্শনী হল হিসেবে৷
স্ট্যাডেল জাদুঘর
গোটা ফ্রাংকফুর্ট শহরে ৬০টি জাদুঘর আর প্রদর্শনী কেন্দ্র রয়েছে৷ এদের মধ্যে সবচেয়ে নামকরা মাইন নদীর তীরবর্তী স্ট্যাডেল জাদুঘর৷ মধ্যযুগ থেকে শুরু করে সমসাময়িক এক লাখেরও বেশি চিত্রকর্ম দেখতে পাবেন সেখানে৷ ছবির এই হলঘরটি আধুনিক শিল্পকর্মের গ্যালারি৷ ২০১২ সালে এটি খুলে দেয়া হয়৷
গ্যোয়েটের জন্মভূমি
বিখ্যাত জার্মান কবি গ্যোয়েটের জন্মধন্য এই শহর৷ ১৭৪৯ সালে তিনি এখানে জন্মগ্রহণ করেন৷ এটি গ্যোয়েটের বাড়ির এখনকার রূপ৷ তার আসল বাড়িটি আর টিকে নেই৷ আগেরটির আদলে নতুন করে এটি নির্মাণ করা হয়েছে৷
মাইন নদীর তীরে
ব্যস্ত ফ্রাংকফুর্ট থেকে মুক্তি পেতে চাইলে চলে যেতে পারেন মাইন নদীর তীরে৷ ফ্রাংকফুর্টের মানুষের প্রিয় গন্তব্যও এই নদীতীর৷ পর্যটকরা চাইলে নৌকায় চেপে নদীপথে শহরটি ঘুরে দেখতে পারেন৷ নদীর তীরে সাইক্লিং, জগিং কিংবা পিকনিকও করেন অনেকে৷
শপিং সেন্টার
ফ্রাংকফুর্টে কেনাকাটা করতে চাইলে চলে যেতে পারেন মিৎসাইল শপিং সেন্টারে৷ আটতলা এই মলে সবই পাওয়া যাবে৷ তবে শপিংয়ে আগ্রহ না থাকলেও শুধু ভবনটির স্থাপত্যশৈলীও আপনাকে মুগ্ধ করতে পারে৷ এটি নির্মাণ করা হয়েছে ২০০৯ সালে৷
স্থানীয় বাজার
ক্লাইনমার্কটহালে বা ছোট মার্কেট হল৷ এখানে স্থানীয় উৎপাদকদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়৷ সেখানকার স্থানীয় চিজ ফ্রাংকফুর্ট হান্ডক্যাজ চেখে দেখতে ভুলবেন না যেন৷
আপেলের ওয়াইন
স্থানীয় আপেলের ওয়াইন দিয়ে ফ্রাংকফুর্ট হান্ডক্যাজ খাওয়ার রেওয়াজ আছে৷ এবেলভয়, শোপেসহ নানা নামে এই ওয়াইন পরিচিত৷
রেল স্টেশন
এটি ফ্রাংকফুর্টের কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন৷ একসময় মাদক আর পতিতালয়ের জন্যও জায়গাটি পরিচিত ছিল৷ এখন সেখানে বার, ক্যাফে আর বিভিন্ন দোকান গড়ে উঠেছে৷