ফ্যাশন যখন সায়েন্স ফিকশন

রাবার ও চামড়ার এই ‘টায়ার’ স্যুটটি ম্যুগলের সতীর্থ ডিজাইনার আবেল ভিলারেয়ালের সঙ্গে মিলে করেছেন৷ এটি তাঁর ১৯৯৭ সালের বসন্ত/গ্রীষ্মের পোকা (লেস আঁসেক্ট) কালেকশন থেকে নেয়া৷ এই পোশাকটি প্রশংসিত হয়েছে৷

টিনএজ বয়সে ছিলেন পেশাদার নাচিয়ে৷ ২০১৩ সালে তাঁর তৈরি ‘ম্যুগলের ফলিস’ নামের গীতিনাট্যটি দুই বছর ধরে প্যারিসের কমেডিয়া থিয়েটারে প্রদর্শিত হয়৷ সেই গীতিনাট্যের অধিকাংশ গানই তাঁর রচনা এবং সব পোশাক তাঁর ডিজাইন করা৷

নিজের ক্যারিয়ারে রেড কার্পেট কিংবা মিউজিক ভিডিও’র জন্য ম্যুগলের রিহানা, ডায়না রস, কেটি পেরি ও সেলিন ডিওনের পোশাক ডিজাইন করেন৷ তাঁর ডিজাইন করা ওপরের পোশাকটি পরে আছেন লেডি গাগা৷ ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া তাঁর গান ‘টেলিফোন’ থেকে নেয়া৷

থিয়েরি ম্যুগলের ১৯৭৬ সালে নিজের প্রথম ক্যাম্পেইনটি শ্যুট করার জন্য বিখ্যাত জার্মান-অস্ট্রেলিয়ান ফটোগ্রাফার হেলমুট নিউটনকে ভাড়া করেন৷ কিন্তু ম্যুগলের ছবি তোলার সময় এতবার মতামত দিতেন যে হেলমুট তাঁকে বলেই বসেছিলেন যে, তুমি নিজেই তাহলে ছবি তোলো৷ সত্যি সত্যিই ম্যুগলের পরে নিজেই ফটোগ্রাফি করে ছাপিয়েছিলেন৷ কিন্তু দু’জন আবার একসঙ্গে কাজও করেছেন৷

লা শিমের হলো ম্যুগলেরের এক অনবদ্য কাজ৷ ১৯৯৭-৯৮ সালে তাঁর ফল/উইন্টার কালেকশনে ছিল এটি৷ এমন পোশাক পরবর্তীতে অনেক অপেরা হিরোইনকেও উদ্বুদ্ধ করেছে৷

বিখ্যাত গায়ক জর্জ মাইকেলের ১৯৯২ সালের হিট ভিডিও ‘টু ফান্কি’র ভিডিওটি পরিচালনা করেন ম্যুগলের৷ তখন তিনি এমন রঙচঙা পোশাক ডিজাইন করেন, যেখানে বুকে মোটর সাইকেলের সামনের লুকিং গ্লাস ও কোমরে হাতল জুড়ে দেন৷

নিজের সাফল্যে আত্মবিশ্বাসী ম্যুগলের তাঁর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে লাগলেন৷ তাঁর ১৯৯৪ সালের কালেকশনে এই পোশাকটি ছিল৷ এখানে আঁটোসাঁটো একটি পোশাকে শরীরের ভাঁজগুলো আরো পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য তাতে রিং ও নৃগোষ্ঠীদের ধাতব স্পাইক বসিয়ে দেন তিনি৷

১৯৯২ সালের বসন্তে ম্যুগলের তাঁর লেস কাউবয়েজ কালেকশন নিয়ে আসেন৷ সেখানে তখনকার পপ লেজেন্ড ডলি পার্টন, মে ওয়েস্ট ও অ্যান্ড্রুস সিস্টার্সদের নিয়ে আসেন৷ তাঁর ক্যারিয়ার জুড়েই তারকাঘেরা ছিলেন ম্যুগলের৷

ম্যুগলের সেইসব ডিজাইনারদের একজন ছিলেন, যারা সুপারমডেল ও সেলেব্রিটিদের নিয়ে কাজ করতেন৷ তিনি তাদের মাধ্যমে নারীকে ভয়হীন ও শক্তিশালী হিসেবে দেখাতে চাইতেন৷