ফেসবুকে আসে নিন্দা, এমন কী জীবননাশের হুমকিও!
২২ জানুয়ারি ২০১১সামাজিক নেটওয়ার্ক বলতে এখন বোঝানো হয় ‘ফেসবুক' কিংবা ‘টুইটার'কেই৷ যদিও এই দুটি সাইট ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক গড়ার জন্য আরও অনেক সাইট রয়েছে৷ কিন্তু সেগুলো এতো বেশি জনপ্রিয় নয়৷
এক থাই কিশোরী, যার এখনো গাড়ির লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতাই হয়নি, সে এক অকাজ করে বসেছে সম্প্রতি৷ এই ধনীর দুলারি ব্যাংককের রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে যাবার সময়, একটি মিনিবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগিয়ে ঘটিয়েছে দুর্ঘটনা৷ তাতে মারা গেছে নয় জন৷ আর এর পরেই সেই কিশোরী ফেসবুকের পাতায় লিখেছে...‘কোন শান্তি নেই৷' আর যায় কোথায়! একে একে তিন লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী সেই পাতায় তাকে নিন্দা জানিয়েছে৷ কেউ কেউ লিখেছে, ‘তুমি কী মানুষ! কী করে বেঁচে আছো?' ইত্যাদি নানা কথা৷ হত্যার হুমকিও পেয়েছে সেই কিশোরী৷
এই তো কয়েক দিন আগের কথা৷ এক চীনা সিনে তারকা জিয়াং জি ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি তাঁর আয়ের একটি অংশ দিয়ে দেবে ২০০৮'এ সিচুয়ান প্রদেশের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদেরকে৷ জিয়াং জি তাঁর প্রতিশ্রুত অর্থের কিয়দংশ দেবার পর, এ নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে ইন্টারনেট দুনিয়ায়৷ ফেসবুকের পাতা ভর্তি হয়ে যায় নানা গালমন্দে৷ এদের বেশিরভাগই চীনের নাগরিক, যাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করেন বিশেষ প্রক্সি সার্ভারের মাধ্যমে৷ কারণ সেখানে ইন্টারনেটের ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সে দেশের সরকারের৷
যাই হোক, এ তো মাত্র দুটি ঘটনা৷ প্রতিদিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সামাজিক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিন্দা, কুৎসা এবং সমালোচনার ঝড় উঠছে অহরহ৷ থাইল্যান্ডের ‘থাই ন্যাটিজেন নেটওয়ার্ক' নামের একটি সংগঠনের সমন্বয়ক সুপিন্না কালাংনারং বলছেন, ‘সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কেউ তাঁর মনের অভিব্যক্তি তাৎক্ষনিকভাবে প্রকাশ করতে পারেন৷ দ্রুত প্রকাশ করতে পারেন তাঁর পরিকল্পনা এবং চিন্তাভাবনার বিষয়গুলো৷ তিনি বলেন, এগুলো ভালো৷ কিন্তু মন্তব্য প্রকাশ অথবা মন্তব্য করার সময় নিজের সীমানা সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা তাঁদের থাকা উচিৎ৷ আর এই সীমানা কখনোই অতিক্রম করাটা উচিৎ নয় বলে মনে করেন সুপিন্না কালাংনারং৷
অন্যদিকে, সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এহেন কার্যক্রমকে দায়িত্ববোধহীন বলেই মন্তব্য করেন ব্রিটিশ মনোরোগ চিকিৎসক আদ্রিয়ান স্কিনার৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ