1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যর্থতা স্বীকার করলেন সাকারবার্গ

১০ এপ্রিল ২০১৮

মার্ক সাকারবার্গ স্বীকার করলেন, গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক এবং সে তথ্য অপব্যবহৃতও হয়েছে৷ ফেসবুক ব্যবহারকারীকে না জানিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা৷

https://p.dw.com/p/2vm3k
ছবি: Getty Images/J. Sullivan

ফেসবুকের তথ্য ফাঁসের জন্য নিজের দায়িত্ব স্বীকার করলেন মার্ক সাকারবার্গ৷ মার্কিন কংগ্রেসের মুখোমুখি হওয়ার আগে তিনি বললেন, ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলি ব্যবহারকারীদের তথ্য সংরক্ষণে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয় না৷ ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের অনৈতিক ব্যবহার তারা রুখতে পারেননি৷ ব্রিটেনের তথ্য বিশ্লেষক সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ফেসবুকের ৮ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবহার করেছে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে৷ এজন্য মার্কিন কংগ্রেস তলব করেছে ফেসবুক সিইও সাকারবার্গকে৷

সেই তলবে হাজিরা দেওয়ার আগে মার্কিন হাউজ এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটি সাকারবার্গের বক্তব্য প্রকাশ করেছে৷ সেখানে ফেসবুক প্রধান স্বীকার করেছেন, ‘‘এ ধরনের জিনিস খারাপ কাজেও লাগানো যায়, সেই ক্ষতিকর দিকটা ভেবে আমরা কখনোই যথেষ্ট ব্যবস্থা নিইনি৷ ফলে ভুয়া ­খবর, ভোটে বিদেশের নাক গলানো, ঘৃণা ছড়ানো ইত্যাদি নানা কাজে ফেসবুক জড়িয়েছে৷’’

আজ ও আগামীকাল সাকারবার্গ কংগ্রেসের দুটো কমিটির প্রশ্নের মুখে পড়বেন৷ ফেসবুকের ১৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ব্যাক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ৷ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ার পরে সেই অভিযোগ আরও তীব্র হয়েছে৷ ফেসবুক নিজেও স্বীকার করেছে যে, ৮ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের তথ্যই বেহাত হয়েছে৷

লন্ডনের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের হস্তক্ষেপ রয়েছে৷  

সাকারবার্গ বলেছেন, ‘‘আমি দুঃখিত৷ আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলাম না৷ সেটা একটা মস্ত বড় ভুল৷ এটা আমারই ভুল৷ আমিই এই সংগঠন চালিয়েছি৷ কাজেই এখানে যা কিছু হয়েছে তার জন্য আমিই দায়ী৷’’  

সাকারবার্গ আশ্বাস দিয়েছেন যে, পরবর্তী সময়ে ব্যবহারকারীদের তথ্য আর পাচার হবে না৷ তৃতীয় কেউ এসে যাতে সেই তথ্য হাতিয়ে নিতে না পারে সে দিকে সতর্ক নজর রাখবে ফেসবুক৷

সাকারবার্গ জানালেন, সন্দেহজনক কাজকর্ম দেখলেই ফেসবুক এবার ফরেনসিক অডিট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ বিভিন্ন অ্যাপের ক্ষেত্রেও নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা৷ কেউ তথ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনও গরমিল করলেই সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে৷

৩৩ বছর বয়সি সাকারবার্গ জানিয়েছেন, তাঁরা অনলাইনে তথ্য ঘিরে লড়াই আর হতে দিতে চান না৷ সোশ্যাল মিডিয়ার তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফেসবুক স্বাধীন গবেষণাধর্মী কমিটি গঠন করতে চলেছে৷ ভোট এবং গণতন্ত্রে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করাই এর মূল লক্ষ্য হবে৷ এই কমিটি যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা এবং প্রাতিষ্ঠানিক গবেষকদের সঙ্গে কথা বলবে৷ সে জন্য গবেষকও খুঁজে নেবে ফেসবুক৷ এঁরাই ঠিক করবেন, কোন কোন বিষয়ের উপর নজর রাখা হবে তথ্য ফাঁস রুখতে৷

পিএস/এসিবি (এপি, রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য