ফেলে দেওয়া মোটর পার্টস থেকে ভাস্কর্য
থাইল্যান্ডে স্ক্র্যাপ মেটাল আর্ট যুক্ত হয়েছে ‘মার্ভেল কমিকস’ আর ‘স্টার ওয়ার্স’ সিরিজের চরিত্রগুলির সঙ্গে৷ মিউজিয়ামটির নাম ‘হাউস অফ স্টিল রোবটস’৷
প্রহরী
‘হাউস অফ স্টিল রোবটস’ মিউজিয়ামটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে৷ মিলেনিয়ামের সময় থেকেই এখানে মোটর গাড়ির ফেলে দেওয়া পার্টস দিয়ে কমিক, সায়েন্স ফিকশন, ফ্যান্টাসি বা পপ সংস্কৃতির নানা মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে৷ মিউজিয়াম, স্টুডিও আর বিক্রির শো-রুম, সবই এক জায়গায়৷ বাইরে পাহারা দিচ্ছে একজন স্টর্মট্রুপার আর দু’টি এলিয়েন৷
‘ট্রান্সফর্মার’
১৯৮৬ সালের অ্যানিমেটেড ফিল্ম অথবা ২০০৭ সালের লাইভ অ্যাকশন ছবিটি যারা চেনেন না, তাঁরাও সম্ভবত মার্কিন হ্যাসব্রো কোম্পানির ট্রান্সফর্মার পুতুলগুলোকে দেখে থাকবেন৷ স্টিল রোবটস মিউজিয়ামের ‘ট্রান্সফর্মার’-টি প্রায় একটি মোটরবাসের সমান উঁচু৷
হাল্কের মুগুর ভাঁজা
মার্ভেল ইউনিভার্সের সবুজ দৈত্যটিকে কে না চেনে! এখানে সে মুগুর ভাঁজছে৷ সবই হাজার হাজার ফেলে দেওয়া মোটর পার্টস জুড়ে তৈরি করা হয়েছে৷ মূর্তিগুলির ৯০ ভাগ এভাবে রিসাইক্লিং করে তৈরি৷
এলিয়েন বলে কাকে?
মুনওয়াকের পোশাক পরা মাইকেল জ্যাকসনকে দেখতে নিঃসন্দেহে কিছুটা অপার্থিব, যেন ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দা৷ এখানে তিনি একজন ট্রান্সফর্মার ও এক কমিক হিরোর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন৷
নিজেই কমিক ফ্যান
‘হাউস অফ স্টিল রোবটস’-এর প্রতিষ্ঠাতা পাইরজ থানমওয়ং ছোটবেলায় তাঁর প্রিয় ফিল্ম আর কমিক চরিত্রদের ছোট ছোট প্লাস্টিকের মূর্তি সংগ্রহ করতেন৷ তবে সেগুলো ছিল প্লাস্টিকের আর আকারে অনেক ছোট...
চাহিদা কম নয়
স্টিল বোবটস-এর মূর্তিগুলির বাজার খারাপ নয়৷ রেস্তোরাঁর মালিকরা রেস্তোরাঁর বাইরে এ ধরনের মূর্তি রেখে খদ্দের টানেন৷ এমনকি থাইল্যান্ডের একাধিক বৌদ্ধমন্দিরেও নাকি বুদ্ধমূর্তির পাশে স্টিল রোবট খাড়া করা আছে – কেননা অভিভাবকরা যখন প্রার্থনায় ব্যাপৃত, তখন কচিকাঁচারা রোবট আর সুপারহিরোদের নিয়ে মত্ত থাকবে৷ তবে বহু বছর ধরেই স্টিল রোবটস মূলত বিক্রি হচ্ছে বিদেশে৷
শুধু সুপারহিরোতেই থেমে নেই
‘হাউস অফ স্টিল রোবটস’ জন্তু-জানোয়ারদের মূর্তি, চেয়ার-টেবিল বা অন্যান্য আসবাবও তৈরি করে থাকে – দাম পড়ে মূর্তির আকার ও তা তৈরি করতে কতটা সময় লাগে, তার ওপর, তবে হাজার ডলার দাম হওয়াটা কিছু আশ্চর্য নয়৷