1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুটবলের আদিগুরু কারা ছিলেন?

৫ মে ২০১৩

১৫০ বছর আগে লন্ডনের একটি পাবে বসে মর্লে, দুই অ্যালকক, পেম্বার, ক্যাম্পবেল, স্টুয়ার্ড, ওয়ন এবং টার্নার – এই আটজন ইংরেজ বিশ্বের প্রথম ফুটবল সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন৷ সেই সঙ্গে আসে ফুটবলের প্রথম ১৩টি নিয়ম-কানুন৷

https://p.dw.com/p/18SEi
ছবি: picture-alliance/M.i.S.-Sportpressefoto

দিনটা ছিল ১৯৬৩ সালের ২৬শে অক্টোবর৷ স্থানটা লন্ডনের কোভেন্ট গার্ডেন এলাকার একটি পাব, নাম ফ্রিমেসন্স ট্যাভার্ন৷ সেখানেই আটজন ইংলিশ জেন্টলম্যান একত্রে বসে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের জন্ম দেন৷ ১৮৬৩ সালের এফএ মিনিট বুকটি এখনও বজায় আছে৷ তা-তে পাওয়া যাবে এবেনেজার কব মর্লের হাতে লেখা ফুটবলের প্রথম নিয়ম-কানুন৷

মর্লের জন্ম ১৮৩১ সালে, মারা যান ১৯২৪ সালে৷ তাঁর বাকি সাতজন সঙ্গী-সাথিদের মধ্যে জেমস টার্নারের জন্ম-মৃত্যুর সাল-তারিখ অজ্ঞাত, অন্তত এখনো পর্যন্ত৷ বাকিদের সম্পর্কেও যে বিশেষ কিছু জানা আছে, এমন নয়৷ অথচ এফএ প্রতিষ্ঠার সার্ধশতবর্ষ এসে পড়ল৷ তাই এফএ ব্রিটেন এবং সেই সঙ্গে সারা পৃথিবীতে ফুটবলের আদি আট গুরুর জীবিত বংশধরদের খোঁজ চালাচ্ছে৷ ইচ্ছা, ওয়েম্বলেতে ফুটবলের বার্ষিকীতে তাদের এনে উৎসব পালন করা৷

বংশধরদের খুঁজে বার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ল্যাঙ্কাশায়ারের ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল ইনস্টিটিউটের এক গণসংস্কৃতি বিষয়ক ইতিহাসবিদ জেন ক্লেইটনের নেতৃত্বাধীন একদল গবেষককে৷ ক্লেইটন অক্টোবরের মধ্যে কিছু বংশধরের নামধাম খুঁজে পাওয়া ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যাপারে আশাবাদী৷ আর এই কাজের প্রেরণা? তাঁর বক্তব্য:

‘‘বিভিন্ন বিষয়ে এবং বিভাগে যারা পথিকৃৎ, তাদের সম্বন্ধে তো আমরা কত কিছুই জানি৷ কিন্তু আশ্চর্য, যারা আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাটি উপহার দিয়েছেন, তাদের সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা নেই৷''

যেমন চার্ল্স অ্যালকক, যিনি এফএ কাপ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেন৷ এফএ কাপ চালু হয় ১৮৭১-৭২'এর মরশুম থেকে৷ অ্যালকক তাঁর পুরনো স্কুল হ্যারোয় ঐ ধরনের একটা খেলা খেলতেন৷ সেটাই ছিল এফএ কাপের অনুপ্রেরণা৷

মর্লে ছিলেন এফএ-র প্রথম সেক্রেটারি৷ আর্থার পেম্বারের জন্ম ১৮৩৫ সালে, মৃত্যু ১৮৮৬'তে৷ পেশায় ছিলেন ব্যারিস্টার৷ ১৮৬৩ থেকে ১৮৬৭ সাল অবধি তিনিই ছিলেন এফএ-র প্রথম প্রেসিডেন্ট৷ ১৯৬৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন৷ কিছুদিন নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর হয়ে সাংবাদিকের কাজ করেছেন৷ কিছু কিছু ভ্রমণের বইও লিখেছেন৷ শেষজীবন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে কাটিয়েছেন৷

এই প্রায় অজ্ঞাত মানুষগুলি ও তাদের কাজের গুরুত্ব বুঝতে গেলে স্মরণ করতে হবে যে, মর্লের স্বহস্তে লেখা ১৮৬৩ সালের সেই ‘মিনিট বুক'-কে আজ সর্বকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলির মধ্যে ধরা হয়৷ কেননা তা-তে ফুটবলের নিয়মকানুন লিপিবদ্ধ করা আছে৷ ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজার রয় হজসন যেমন বলেছেন: ‘‘ফুটবল আমাদের সমাজজীবনের অঙ্গ৷ ১৫০ বছর আগে এই আটজন মানুষের স্বপ্ন ছাড়া তা হয়ত সত্য হতে পারতো না৷''

এসি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য