ফুকুশিমার এলাকাবাসীদের উপর প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা
২১ এপ্রিল ২০১১এই নিষেধাজ্ঞা তখন জারি করা হলো যখন জাপানি পুলিশ এমন ৬০ টিরও বেশি পরিবারকে খুঁজে পেয়েছে যারা এই এলাকার মধ্যে বসবাস করছেন এবং অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজে পুনরায় তাঁদের পরিত্যক্ত বাড়ি-ঘরে ফিরে এসেছেন৷
ফুকুশিমা পারমাণবিক চুল্লির তেজস্ক্রিয়তার প্রায় ছয় সপ্তাহ পরে প্রধানমন্ত্রী নাওটো কান ঘোষণা দিলেন, ফুকুশিমার আশেপাশের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে গ্রামবাসীরা প্রবেশ করতে পারবেন না, যেখানে হাজার হাজার মানুষ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন৷
গত মার্চ মাসের ১১ তারিখে ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং সুনামির পর এই পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগস্ত হয়৷ এবং এরপর ফুকুশিমা চুল্লিতে বিস্ফোরণের ফলে বাতাস, মাটি ও সাগরের পানিতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে৷ পঁচিশ বছর আগে চেরোনোবিলের পারমাণবিক চুল্লির দুর্ঘটনার পর এটি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্যোগ৷
এই দুর্ঘটনার ফলে চুল্লির আশপাশের ৩০ কিলোমিটার এলাকা থেকে ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ যদিও সেসময় প্রথমে এলাকাবাসী বলেছিলেন তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাঁরা দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরের মধ্যেই বসবাস করবেন৷ পরে অবশ্য তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেড়ে গেলে তাঁরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়ে এলাকা ত্যাগ করেন৷
টোকিওতে সংবাদ সম্মেলনে কান সরকারের মুখপাত্র ইউকিও ইডানো বলেছেন, ‘‘পারমাণবিক চুল্লিটি এখনও সুস্থিত কোনো অবস্থায় আসতে পারেনি৷ তাই আমরা এলাকাবাসীদের বলছি, তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই এলাকায় প্রবেশ না করতে৷ কেননা এখনও অনেক ঝুঁকি রয়েছে৷''
উল্লেখ্য, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আটক করা হতে পারে কিংবা ১ লাখ ইয়েন জরিমানা করা হতে পারে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: জাহিদুল হক