ফিলিপাইন্সে মৃতের সঙ্গে বসবাস
নিদারুণ অর্থকষ্টে মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলে না৷ আর তাই কবরস্থানেই বাস করছেন রাজধানী ম্যানিলার প্রায় ছয় হাজার মানুষ৷
গরিবের শেষ আশ্রয়
উত্তর ম্যানিলার এ কবরস্থানটিতে বাস করে প্রায় আটশ’ পরিবার৷ জনসংখ্যা প্রায় ছয় হাজার৷ মাস শেষে বাসা ভাড়ার টাকাটুকু জোগাড় করতে না পেরে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন এ করস্থানটিতে৷ আর এরই মধ্যে এটি হয়ে উঠেছে ম্যনিলার বড় বস্তিগুলোর একটি৷
তিন প্রজন্মের আশ্রয়
১৯৫০ সাল থেকেই এ কবরস্থানটিতে বাস করে আসছে ম্যানিলার দরিদ্র জনগোষ্ঠী৷ প্রায় তিন প্রজন্ম ধরে তাঁরা বাস করছেন এখানে৷
কষ্ট নিত্যদিনই
বস্তিটিতে নেই কোনো নাগরিক সুবিধা৷ আর তাই জীবন-জীবিকা এখানে সহজ নয়৷ কাপড় ধোয়ার জন্য বা গোসল করার জন্য তাঁদের যেতে হয় আশপাশের এলাকাগুলোতে, যেখানে অল্প পয়সায় ধোয়া ও কাচার কাজটি সারেন তাঁরা৷
বদ্ধ ঘরে বাস
এখানে গেলে বোঝা যায়, এ লোকগুলোর ব্যক্তগত জীবন বলতে কিছু নেই৷ দেখা যায়, ছোট্ট একটি কোঠায় কয়েকজন রাত কাটায়৷
বিনোদনের চেষ্টা
বিনোদনের প্রধান মাধ্যম টেলিভিশনের জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎ৷ এ সুবিধা পেতে পাশের বাড়ি থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ পাওয়ার চেষ্টা করেন কেউ কেউ৷
নিয়মিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
মৃতদেহের যথাযথ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ফিলিপাইন্সবাসীর একটি ঐতিহ্য৷ আর তাই সবসময়ই কবরস্থানটিতে ভিড় করেন মৃতদের আত্মীয়রা৷
আইসক্রিমে তৃপ্তি
হবিটো নামে এ আইসক্রিম বিক্রেতা এখানকার বাসিন্দা নন৷ কিন্তু প্রতিদিনই তিনি একবার করে এখানে আসেন, কেননা, এখানকার বাচ্চারা তাঁর মিষ্টি স্বাদের আইসক্রিমের জন্য অপেক্ষা করে৷
কবরে বসে ঈশ্বরকে স্মরণ
দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত এডউইন কাজকর্ম করতে পারেন না৷ আর তাই এ বস্তিটিতে স্থায়ী হয়েছেন তিনি৷ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈশ্বরের নাম জপেন৷ তাঁর বিশ্বাস এখানে থাকলে হয়ত ঈশ্বর তাঁকে ভুলে যাবেন না৷
আছে পড়াশোনাও
এখানকার বাচ্চাদের পড়াশোনায় সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় একটি এনজিও৷ দল বেঁধে ছেলেমেয়েরা এখানে পড়তে আসে৷
আছে ধর্মশিক্ষাও
ধর্মশিক্ষায় আগ্রহ আছে এখানকার বাসিন্দাদের৷ আর তাই বইবেল শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত ক্লাসে যোগ দেন অনেকেই৷
একটি বাসার স্বপ্ন
এ বস্তিটিতেই বড় হয়েছেন কামবাল কানবানা৷ প্রতিদিনই নিজের একটি বাড়ির স্বপ্ন দেখেন তিনি৷ এর জন্য কবুতরের ব্যবসাসহ আরো কিছু কাজ করেন তিনি৷ ব্যবসার টাকা জমিয়ে পূরণ করতে চান এ স্বপ্ন৷