ফিফার বিরুদ্ধে আবার দুর্নীতির অভিযোগ
১১ মে ২০১১ফিফার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন ঘটনা নয়৷ কিন্তু মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ফুটবল সংগঠনের প্রাক্তন প্রধান ডেভিড ট্রিসম্যান যেভাবে ফিফার শীর্ষ কর্মকর্তাদের একের পর এক কার্যকলাপ তুলে ধরছিলেন, তখন এক ভয়ংকর চিত্র ফুটে উঠছিলো৷ ব্রিটেনের এক সংসদীয় তদন্ত কমিটির সামনে তিনি ফিফার নির্বাহী কমিটির চার সদস্যের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন৷ ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চেয়েছিল ব্রিটেন৷ সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর যেসব প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে এই কমিটি৷
ট্রিসম্যান দাবি করেছেন, ফিফার কর্মকর্তা ঘুস বা অন্য কোনো অনৈতিক কাজের বিনিময়ে ইংল্যান্ডকে সমর্থন করতে প্রস্তুত ছিলেন৷ এঁরা হলেন ত্রিনিদাদের জ্যাক ওয়ার্নার, প্যারাগুয়ের নিকোলাস লেয়স, ব্রাজিলের রিকার্দো তেশেরা ও থাইল্যান্ডের ওয়ারাউয়ি মাকুদি৷ ইংল্যান্ড অবশ্য ঘুসও দেয় নি, বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগও পায় নি৷ অন্যদিকে আফ্রিকান কনফেডারেশনের সভাপতি ইসা হায়াতু ও আইভরি কোস্টের জাক আনুমা ১৫ লক্ষ ডলারের বিনিময়ে কাতারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে কাতার৷ উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগের কারণে গত বছর ফিফা নাইজেরিয়ার আমস আমাদু ও তাহিতির রেনাল্ড তেমারিকে শাস্তি দিয়েছিল৷
মোটকথা ফিফার ২৪ সদস্যের নির্বাহী কমিটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ সদস্যের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে৷ ফিফার প্রধান সেপ ব্লাটারও রেহাই পান নি৷ ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে জিততে তিনি ঘুস ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে ২০০২ সালে অভিযোগ করেছিলেন ফিফার তৎকালীন মহাসচিব মিশেল জেন রুফিনেন৷
একের পর এক অভিযোগের ফলে ফিফার ভাবমূর্তির যে চরম ক্ষতি হচ্ছে, ব্লাটার সহ সব মহলই এবিষয়ে একমত৷ ব্লাটার অবশ্য নির্বাহী কমিটির সদস্যদের হয়ে কোনো সাফাই গাইছেন না৷ তাঁর দাবি, তিনি নিজে কোনো অন্যায় করেন নি৷ কিন্তু আগামী ১লা জুনের নির্বাচনে কাতারের প্রার্থী মহম্মদ বিন আম্মাম এই সংগঠনের খোলনলচে বদলে নতুন সূচনা করার সুযোগ পেতে পারেন, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম