1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফারাজ অনড়, বিপাকে জনসন, চাপ বাড়াচ্ছে ইইউ

১৫ নভেম্বর ২০১৯

ব্রিটেনের আসন্ন নির্বাচনে অনিশ্চয়তার মাঝে টোরি ও ব্রেক্সিট দলের মধ্যে টানাপড়েন চলছে৷ প্রধানমন্ত্রী জনসন জানুয়ারির শেষে ব্রেক্সিট কার্যকর করার অঙ্গীকার করেছেন৷ এদিকে ইইউ-র সঙ্গে নতুন সংঘাত দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3T5hO
ব্রেক্সিট পার্টির প্রধান নাইজেল ফারাজ
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Augstein

আগামী ১২ই ডিসেম্বর ব্রিটেনের আগাম নির্বাচনের ফলাফলের কোনো নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে না৷ ইউগভ সংগঠনের এক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী ব্রিটেনের ভোটাররা এই মুহূর্তে মূলত ব্রেক্সিটের পক্ষে অথবা বিপক্ষে অবস্থান নিতে ব্যস্ত৷ কোনো দলের প্রতি আনুগত্য সে ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করছে না৷ প্রায় ৮৬ শতাংশ ব্রিটিশ ভোটার এমনটা মনে করেন৷

চলতি সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মাথাব্যথা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছিলেন ব্রেক্সিট পার্টির প্রধান নাইজেল ফারাজ৷ গত নির্বাচনে যে সব আসন টোরি দলের ঝুলিতে গিয়েছিল, সে সব আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করে ব্রেক্সিটপন্থি ভোটারদের মধ্যে বিভাজন দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু অন্যান্য আসনেও টোরি দলের জয়ের সম্ভাবনা এড়াতে ফারাজের উপর চাপ বাড়ছিল৷ এবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যে নির্বাচনের রণক্ষেত্র ছেড়ে তিনি মোটেই চলে যাবেন না৷ যত বেশি সংখ্যক আসনে জিতে তিনি আগামী সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চান৷ দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে টোরি দলের পক্ষ থেকে নানা রকম টোপ দেওয়া হচ্ছে বলেও ফারাজ অভিযোগ করেন৷ টোরি দল অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

প্রধানমন্ত্রী জনসন তাঁর দলকে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিতে ভোটারদের কাছে আবেদন করছেন৷ ক্ষমতায় ফিরলে তিনি জানুয়ারি মাসের শেষে ব্রেক্সিট কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন৷ তবে এবারও টোরি দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সরকার গড়ার জন্য ব্রেক্সিট পার্টি বা অন্য কোনো দলের উপর নির্ভর করতে হবে৷ অন্যদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার দলের নেতা জেরেমি কর্বিন ক্ষমতায় এলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দরকষাকষি করে ব্রেক্সিট চুক্তিতে রদবদল করে দ্বিতীয় গণভোটের অঙ্গীকার করছেন৷

নির্বাচনি প্রচার চলাকালীনও ব্রিটেনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংঘাত দূর হচ্ছে না৷ আগামী ১লা ডিসেম্বর জার্মানির উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের নেতৃত্বে নতুন কমিশনের কার্যভার গ্রহণ করার কথা৷ নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক সদস্য দেশের এক জন কমিশনর মনোনয়ন করার কথা৷ কিন্তু ব্রিটেন কোনো কমিশনরের নাম প্রস্তাব না করায় সংকটের সৃষ্টি হয়েছে৷ ফলে লন্ডনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ শুরু করছে ব্রাসেলস৷ ব্রিটেনের বিদায়ী সরকার জানিয়েছে, প্রথা অনুযায়ী নির্বাচনের ঠিক আগে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য প্রার্থী মনোনয়ন করা সম্ভব নয়৷

ব্রিটেনে নির্বাচনের পর ব্রেক্সিট কার্যকর হলেও ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে নতুন সমস্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ কারণ বিচ্ছেদ চুক্তি অনুযায়ী ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করার পর ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েও বোঝাপড়ায় আসতে হবে৷ ২০২০ সালের মধ্যেই সেই ‘চূড়ান্ত' চুক্তি অনুমোদন করতে হবে৷ তা না হলে ব্রিটেনকে বাদ দিয়ে ইইউ-র বাজেট কার্যকর করা কঠিন হবে৷ দুই পক্ষের মধ্যে রফা না হলে ‘চুক্তিহীন' ব্রেক্সিটের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)