ফাইভজি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সমস্যা করবে?
ফাইভজি মোবাইল নেটওয়ার্কের কারণে ভবিষ্যতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা৷ বিষয়টি নিয়ে তারা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছেন৷
পূর্বাভাস তৈরি
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা, নাসা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা, এসা পরিচালিত আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইটগুলো আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও প্রেরণ করে থাকে৷ এসব তথ্য কম্পিউটারে বিশ্লেষণ করে আবহাওয়াবিদরা পূর্বাভাস তৈরি করেন৷
তথ্যের মান
স্যাটেলাইটের তথ্য যত ভালো হয় আবহাওয়াবিদরা তত ভালো পূর্বাভাস দিতে পারেন৷ অর্থাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠিক কোথায় এবং কখন আঘাত হানবে সেটা বলে দিতে পারেন৷ তবে তথ্য ঠিক না পেলে দেখা যাবে, আবহাওয়াবিদরা বললেন ঝড় হবে খুলনায়, কিন্তু আঘাত হানলো চট্টগ্রামে৷
আশঙ্কা
সম্প্রতি জার্মানিতে জাবিনে নামে একটি ঝড় আঘাত হেনেছিল৷ আবহাওয়াবিদরা কয়েকদিন আগেই এর পূর্বাভাস দিতে পেরেছিলেন৷ ফলে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়েছিল৷ কিন্তু ভবিষ্যতে যখন ফাইভজি নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি বাড়বে তখন এমন সঠিক পূর্বাভাস পাওয়া কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা৷
স্পেকট্রাম সমস্যা
পূর্বাভাস ঠিক করার সময় বায়ুমন্ডলে পানীয় বাস্পের পরিমাণ জানা জরুরি৷ যেসব সেন্সর ব্যবহার করে স্যাটেলাইট এই তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো ২৩.৬ থেকে ২৪ গিগাহার্টজ স্পেকট্রামে কাজ করে৷ আর ফাইভজি নেটওয়ার্ক ২৪.২৫ থেকে ২৭.৫ গিগাহার্টজে পরিচালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা, আইটিইউ৷ অর্থাৎ দুটো স্পেকট্রামের মধ্যে পার্থক্য ০.২৫ গিগাহার্টজ৷ ফলে আবহাওয়াবিদদের কাছে তথ্য আসায় ব্যাঘাত তৈরি হতে পারে৷
সমাধানের উদ্যোগ
তথ্য প্রবাহ যেন ব্যাহত না হয় সে লক্ষ্যে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিশ্ব সংস্থা ডাব্লিউএমও ইতিমধ্যে ফাইভজি ট্রান্সমিটারগুলোর শক্তি সীমিত করার অনুরোধ জানিয়েছে৷ তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি আইটিইউ৷