1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফাঁকিবাজি? ধরিয়ে দিতে তৈরি সেই ফেসবুক

২৪ নভেম্বর ২০১০

ইসরায়েলে নারী-পুরুষ সবাইকেই সামরিক বাহিনীতে কিছুদিন প্রশিক্ষণ নিতে হয়৷ এতকাল অজুহাত দিয়ে তা কোনরকমে এড়ানো গেলেও এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক৷

https://p.dw.com/p/QGah
তরুণ ইসরায়েলিরাও ফেসবুক-পাগলছবি: AP

সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ নিতেই হবে – অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে এই বাস্তব একটা বিভীষিকা৷ তার উপর দেশটার নাম ইসরায়েল৷ শুধু নিরাপত্তা নয়, অস্তিত্ব বজায় রাখার দোহাই দিয়েই সব নাগরিককে প্রস্তুত করে তোলা হয় সংগ্রামের জন্য৷

60 Jahre Israel
তরুণ ইসরায়েলিদের উচ্ছ্বাসছবি: AP

তবে কিনা বজ্র আঁটুনি থাকলে ফসকা গেরোও রয়েছে৷ কারণ দেশটার নাম ইসরায়েল৷ ইহুদি রাষ্ট্র৷ অতএব ধর্মীয় বিশ্বাসও নিরাপত্তার মতই স্পর্শকাতর বিষয়৷ কাজেই ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে ‘অস্ত্রে হাত দেব না' বলে দেওয়া যায়৷ গোঁড়া ইহুদি হলে এমনটা তো বলা যায়ই৷ প্রায় ১,০০০ তরুণী এমন পথেই সেনাবাহিনীর ব্যারাক এড়িয়ে গিয়েছিলেন৷ তাদের শুধু লিখিতভাবে জানাতে হয়েছিল যে তারা ‘কোশার' (অনেকটা ‘হালাল'এর মত) ছাড়া খাবার খায় না আর পবিত্র ‘শাবাৎ'এর সময় কোনো কাজ করে না৷ ব্যস, রেহাই পেয়ে গেছিল তারা৷ সেনাবাহিনী ৬০ দিনের মধ্যে এই বিবৃতি চ্যালেঞ্জ করতে পারলে অবশ্য অন্য কথা৷

Mazze Matzot Matzen Jüdisches Brot
গোঁড়া ইহুদিদের অনেক রীতি-নীতি মেনে চলতে হয়ছবি: picture alliance/dpa

কিন্তু দেশটার নাম ইসরায়েল৷ সেনাবাহিনীও অত সহজে ছাড়ার পাত্র নয়৷ পাড়া-পড়শিদের কাছে খোঁজখবর করলে তারাও না হয় আসল কথা চেপে যেতে পারে, কিন্তু আধুনিক এই যুগে তাদের কাছে যাবারই প্রয়োজন নেই৷ হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিচ্ছে ফেসবুক৷ সেখানে একবার ঢুঁ মারলেই যে কোনো মানুষ সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যায়৷ ইসরায়েলের যে তরুণীরা নিজেদের ‘গোঁড়া ধর্মপ্রাণ' হিসেবে তুলে ধরে ফাঁকি মারতে চেয়েছিলেন, ফেসবুকে তাদের প্রোফাইল দেখলে মোটেই সেই চিত্র ফুটে ওঠে নি৷

যেমন এক তরুণী এক ছবি পোস্ট করেছে, যাতে তাকে ‘কোশার' নয়, এমন রেস্তোরাঁতে খেতে দেখা যাচ্ছে৷ অনেকে আবার শুক্রবার রাতে পার্টিতে ফুর্তি করেছে, যা মোটেই গোঁড়া ইহুদি ভাবধারার সঙ্গে মানানসই নয়৷ অতএব সুখের দিন শেষ ফাঁকিবাজদের – কারণ ফেসবুক৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়