প্রোটিনের উপাদান ধ্বংস করবে বানরের এইচআইভি
৩০ আগস্ট ২০১০খুব সূক্ষ্ম এবং শক্তিশালি মাইক্রোসকোপ ব্যবহার করে প্রোটিনের যে উপাদান সনাক্ত করা হয়েছে তাকে বলা হচ্ছে 'টিআরআইএমফাইভএ'৷ লয়োলা ইউনিভার্সিটি হেল্থ সিস্টেমের সিনিয়র গবেষক পিএইচডি, এডওয়ার্ড এম ক্যাম্পবেল বলেছেন, এই সনাক্তকরনের মাধ্যমে নতুন টিআরআইএমফাইভএ ভিত্তিক চিকিৎসা আবিষ্কার করা সম্ভব হতে পারে, যা মানব দেহ থেকে এইচআইভি নির্মূলে সহায়ক হবে৷
ক্যাম্পবেল এবং তাঁর সহকর্মীদের লেখা প্রোটিনের এই প্রধান উপাদানটি খুঁজে পাওয়া সম্পর্কিত আর্টিকেল জার্নালে প্রকাশ করা হবে ১৫ই সেপ্টেম্বর৷ যদিও এই সম্পর্কিত অনলাইন সংস্করণ এখনই পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে ২০০৪ সালেই অন্য আরেকদল বিজ্ঞানী বলেছিলেন, ছোট লেজের বানরকে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে 'টিআরআইএমফাইভএ'৷ এই প্রোটিনটি প্রথমে এইচআইভি ভাইরাসের সঙ্গে লেগে থাকে, পরে অন্যান্য 'টিআরআইএমফাইভএ' প্রোটিনগুলো এক সঙ্গে মিলে ভাইরাসটিকে ধ্বংস করে৷
মানব দেহেও 'টিআরআইএমফাইভএ' রয়েছে৷ তবে মানুষের ক্ষেত্রে এটি কিছু ভাইরাস প্রতিরোধ করলেও, তা এইচআইভির বিরুদ্ধে কিছু করে না৷ গবেষকরা আশা করেন, টিআরআইএমফাইভএ-কে চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারবে৷ কিন্তু সেক্ষেত্রে ভাইরাসগুলোকে ধ্বংস করতে হলে, তাঁদেরকে প্রথমে প্রোটিনে থাকা উপাদান 'টিআরআইএমফাইভএ'-কে সনাক্ত করতে হবে৷
ক্যাম্পবেল বলেন, বিজ্ঞানীরা ৭৫ বছর ধরে চেষ্টা করে চলেছেন অ্যান্টিভাইরাল থেরাপির উন্নয়ন সাধনের জন্যে৷ তিনি বলেন, বিবর্তন প্রক্রিয়াও এইক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে৷ এবং আরেকটি হচ্ছে সনাক্তকরণ, যে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত আমরা খুব কমই জানি৷ 'টিআরআইএমফাইভএ'-তে অ্যামিনো অ্যাসিডের প্রায় ৫০০টি উপ-ইউনিট আছে৷ তবে লয়োলা গবেষকরা ছয়টি পৃথক অ্যামিনো অ্যাসিড সনাক্ত করেছেন৷
গবেষকরা তাঁদের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আশা করছেন, অ্যামিনো অ্যাসিড সনাক্ত করা বা অ্যামিনো অ্যাসিডের সংযুক্তি, যা টিআরআইএমফাইভএ ধ্বংস করতে পারবে৷ তবে জটিল এই অ্যামিনো অ্যাসিডকে সনাক্ত করা গেলে, তা জিনগতভাবে পরিবর্তীত ‘টিআরআইএমফাইভএ'-র মাধ্যমে মানুষের দেহের জন্যে আরো কার্যকর করার সম্ভবনা রয়েছে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ