প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা করে ‘বেকার’ তাঁরা
ডনাল্ড ট্রাম্প আর ব্রাজিলের জাইয়া বলসোনারোর কাছে যেন মানুষের প্রাণের চেয়ে দেশের অর্থনীতিই বড়৷ তাদের এমন মনোভাবের বিরোধিতা করে বিপদে পড়েছেন কর্মকর্তারা৷
ডা. অ্যন্থনি ফাউচি
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় এলার্জি ও সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউটের প্রধান৷ এছাড়া হোয়াইট হাউসের করোনা ভাইরাস রেসপন্স টিমের একজন বিশেষজ্ঞ৷ করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিতে একসময় ফাউচি নিয়মিত টেলিভিশনে উপস্থিত হতেন৷ কিন্তু ৪ মে’র পর আর তাঁকে টিভিতে দেখা যায়নি৷ কারণ নির্বাচনের বছর হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাড়াতাড়ি লকডাউন তুলে দিতে চান, যার বিরুদ্ধে ফাউচি৷ এজন্য তাকে আর টিভির সামনে আসতে দেয়া হচ্ছে না৷
ট্রাম্পের সমালোচনায় ওবামা
করোনা মহামারি শুরুর পর ট্রাম্পের নেয়া পদক্ষেপকে ‘অ্যাবসোলিউট ক্যাওটিক ডিজাস্টার’ বলেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ এদিকে, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি এক সপ্তাহ আগে লকডাউনে যেতো তাহলে ৩৬ হাজার মানুষের প্রাণ হয়ত বেঁচে যেতো৷ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন৷
লুই হেনরিক মানদেত্তা
তিনি ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন৷ বর্তমানে এই দেশটিতে করোনার প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে৷ করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের সমর্থক ছিলেন মানদেত্তা৷ কিন্তু তাঁর চরম ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইয়া বলসোনারো দ্রুত দেশের অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে যেতে চান৷ তাই গত মাসের মাঝামাঝি মানদেত্তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়৷
নেলসন টাইখ
মানদেত্তার পর টাইখকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন বলসোনারো৷ প্রথমে টাইখ তাঁর প্রেসিডেন্টের মতোই কথাবার্তা বললেও পরবর্তীতে দুজনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়৷ এমনকি টাইখকে না জানিয়ে বলসোনারো একসময় জিম, বিউটি পার্লার ও সেলুনকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণা করেন৷ এছাড়া ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকুইন ব্যবহার নিয়েও বলসোনারোর সঙ্গে টাইখের বিরোধ দেখা দেয়৷ এর ফল হিসেবে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন টাইখ৷
করোনা নিয়ে বলসোনারো
মানুষ মারা গেলেও দ্রুত অর্থনীতি স্বাভাবিক করতে চান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট৷ যেমন গতমাসে টাইখকে নিয়োগ দেয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি... জীবন অমূল্য৷ কিন্তু অর্থনীতি ও চাকরি অবশ্যই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে৷’’ তারও আগে বলসোনারো এক সাংবাদিককে বলেছিলেন, ‘‘কয়েকজন মারা যাবে৷ আমি দুঃখিত৷ এটাই জীবন৷’’ ব্রাজিলে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে৷