প্রীতিভোজে ১২০ মণ মাংস, ৮০ মণ মাছ!
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার এক আওয়ামী লীগ নেতা প্রীতিভোজের আয়োজন করেই সংবাদ শিরোনামে৷ সে এক এলাহি প্রীতিভোজ, যেখানে ১২০ মণ মাংস ও ৮০ মণ মাছ রান্না্ করে খাওয়ানো হয়েছে ৩০ হাজার মানুষকে! দেখুন ছবিঘরে...
যেন এক বাজার মাছ-মাংস
আক্কেলপুরের রোয়ার গ্রামে নিজের বাড়িতেই প্রীতিভোজের আয়োজন করেছিলেন উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক জিয়া৷ ৩০ হাজার অতিথিকে শুধু মাংসই খাওয়ানো হয় ১২০ মণ আর মাছ ৮০ মণ৷ এত মাছ-মাংস এক বাজার থেকে কেনা সম্ভব হয়েছে কিনা কে জানে৷
আনুমানিক ব্যয় ৫০ লাখ টাকা
৬০ বিঘা জমির উপর অতিথিদের বসিয়ে আপ্যায়ন করা হয়৷ ভিআইপিদের জন্য অবশ্য প্যান্ডেল ছিল৷ সেখানে চেয়ার-টেবিলে বসেই খেয়েছেন তাঁরা৷ পুরো আয়োজনে ব্যয় হয় আনুমানিক অর্ধকোটি টাকা৷
৬০০টি চুলা, ৯০ জন বাবুর্চি
বিশাল এই ভূড়িভোজের রান্নার দায়িত্বে ছিলেন প্রায় দেড়শ’ বাবুর্চি৷ খাবার পরিবেশনের জন্য ৩০ হাজার প্লেট এবং ৩০ হাজার গ্লাসের ব্যবস্থা রাখা হয়৷ প্রধান বাবুর্চি তোজাম্মেল হোসেন ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-কে জানান, ১০০ মণ গরুর মাংস, ২০ মণ খাসির মাংস, ৮০ মণ মাছ ও দেড়শ মণ আলুসহ বিভিন্ন শাক-সবজি রান্না করা হয়েছে৷ ৬০০টি চুলায় ৯০ জন বাবুর্চি ও তাদের ১২০ জন সহযোগী রান্না করেন৷
৪৫ মণ দই, ৪০ মণ মিষ্টি
৩০ হাজার অতিথিকে ৪৫ মণ দই ও ৪০ মণ মিষ্টিও খাওয়ানো হয় জিয়াউল হক জিয়া’র এই এলাহি প্রীতিভোজে৷
জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ
অনুষ্ঠান সফল করতে সাত দিন ধরে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক পালাক্রমে কাজ করেছে৷ এছাড়া বিশাল জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়৷
প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন
জিয়াউল হক জিয়া দাবি করেন, এমন আয়োজনের পিছনে তাঁর রাজনৈতিক কোনো অভিলাষ নেই৷ তিনি জানান, বার্ষিক এই পারিবারিক আয়োজনে প্রতি বছর প্রীতিভোজের সঙ্গে গ্রাম বাংলা থেকে বিলুপ্ত খেলাধূলা, পালা গান, জারি-সারি, মুর্শির্দী গানসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও থাকে৷
কর বিভাগকে না জানিয়ে?
তবে জিয়াউল হক জিয়ার এই প্রীতিভোজ বৈধ কিনা এই প্রশ্নটি উঠেছে৷ জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক আব্দুর রহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘‘এ ধরনের অনুষ্ঠান কর বিভাগকে অবহিত করে করতে হয়৷’’ অথচ অনুষ্ঠানটি কর বিভাগকে না জানিয়ে করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷