প্রাণীদের দ্বারা রোগে আক্রান্ত
অনেক মানুষ প্রাণীদের সাথে খুব সহজেই বন্ধুত্ব করতে পারে৷ তাছাড়া কুকুর, বিড়াল তো অনেক শিশুর খেলার সাথী, এমনকি তারা কেউ কেউ এক বিছানায় ঘুমায়ও৷ আতঙ্কের ব্যাপার হলো, প্রাণীদের গায়ে থাকে নানা রোগের জীবাণু৷
কুকুরের লোম থেকে অ্যালার্জি
পোষা কুকুরের লোম থেকে অনেক সময় শিশুদের শরীরে অ্যালার্জির সংক্রমণ হয়ে থাকে যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে৷ তাছাড়া জার্মানিতে প্রতিটি কুকরকেই জলাতঙ্ক রোগের টিকা দিতে হয় এবং কুকুরদের বিভিন্ন অসুখের জন্য টিকা দেওয়ারও নিয়ম রয়েছে৷ বিশেষ করে বিদেশে কোথাও ভ্রমণ করার আগে তো অবশ্যই৷
বেড়ালদের ‘চুলকানো’ অসুখের
বেড়াদের ‘চুলকানো’ অসুখ খুবই বিপজ্জনক৷ অসুস্থ বেড়ালের ক্ষত থেকে মানুষে শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে এ অসুখ৷ তবে বেড়াল নিজে বছরের পর বছর এই রোগের জীবাণু রক্তের মধ্যে বহন করতে পারে৷ জার্মানিতে শতকরা ১৩টি বেড়ালই এই রোগের ভাইরাসে সংক্রমিত৷ মানুষের এ রোগ হলে অল্পক্ষণের জন্য জ্বর হয় এবং চুলকানির ফলে বিভিন্ন জায়গা ফুলে যায়৷
ইবোলার সংক্রমণ ছড়ানোর প্রথম বাহক বাঁদুর
আমরা জানি বাঁদুরকে ‘ইবোলা’ সংক্রমণ ছড়ানোর প্রথম বাহক হিসেবেই ধরা হয়৷ তবে পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি এলাকায় বাঁদুরের মাংস সুস্বাদু খাবার হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে৷ ইবোলার প্রথম ভাইরাস কিন্তু প্রাণী থেকেই মানুষের শরীরে প্রবেশ করে৷ তারপর একজন মানুষের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়৷ এভাবেই ছড়িয়ে পরে ভয়ংকর ইবোলা ভাইরাস৷
গরু-বসন্ত
গরুরও বসন্ত রোগ হয়, বিশেষ করে বাছুর বা শিশু গরুদের৷ আর মানুষেরও হয় এই গরু-বসন্ত৷ জার্মানিতে গরু-বসন্তের টিকা এখনো বের হয়নি৷ তবে যাঁদের সাধারণ বসন্তের টিকা দেয়া থাকে, তাঁরা গরু-বসন্ত হবার ভয় থেকে সুরক্ষিত৷ আগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গো-দোহনের সময়ই এ সব অসুখ মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতো, বিশেষকরে প্রথমেই আক্রান্ত হতো হাত দুটো৷
বিপজ্জনক কামড়
আজকের দিনে মানুষ বা প্রাণী কারো জন্যই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করা কোনো সমস্যাই নয়, ঠিক এশীয় টাইগার মশার মতো৷ বিভিন্ন দেশ থেকে জাহাজের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্যের সাথে মশা রোগের জাবাণু বহন করে ইউরোপে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয় ডেঙ্গু জ্বর৷
টিয়া পাখির অসুখ
টিয়া পাখি অসুখ হচ্ছে ‘জু-নোজ’, যা শিশু এবং দুর্বল মানুষদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিয়া পাখি বা পায়রার শুকনো মল বা বিষ্ঠা থেকে বাতাসের মাধ্যমে মানুষেকে সংক্রমিত করে৷
শেয়াল
২০০৮ সাল পর্যন্ত জার্মানিতেও ছিল জলাতঙ্ক রোগ৷ এই রোগ সাধারণত শেয়ালের থেকেই সংক্রমিত হয়ে থাকে৷ বিশাল এক টিকা অভিযানের মাধ্যমে এই বিপজ্জনক রোগ নির্মূল করা হয়েছে৷ আগে এই ভাইরাসে যাঁরা আক্রান্ত হতেন, তাঁরা মৃত্যুর ছোবল থেকে রক্ষা পেতেন না৷ জার্মানি অবশ্য এখন এই রোগের সংক্রমণ থেকে মুক্ত৷