প্রস্রাব দিয়ে জ্বলবে বাতি!
হ্যাঁ, জ্বালানি তৈরির এরকম আরো অনেক বিকল্প এবং টেকসই উৎস নিয়ে গবেষণা চলছে দীর্ঘদিন ধরে৷ চলুন জেনে নিই, সাত বিকল্প উৎসের কথা যা ভবিষ্যতে আমাদের জন্য জ্বালানি হতে পারে৷
মলমূত্র
আমরা প্রতিদিন যা বিসর্জন করছি তা থেকে বিকল্প জ্বালানি তৈরির পথে বিজ্ঞানীরা বেশ খানিকটা এগিয়েছেন৷ তাদের চেষ্টা সফল হলে শীঘ্রই হয়ত শরণার্থী শিবিরগুলোতে মলমূত্র দিয়ে তৈরি বিদ্যুৎ দিয়ে জ্বালানো হবে বিজলি বাতি৷ আর এভাবে একসময় আমাদের দৈহিক বর্জ্য আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মিত্রে পরিণত হতে পারে৷
শ্যাওলা খামার
শ্যাওলা দিয়ে জ্বালানি উৎপাদনের ধারণাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ বিজ্ঞানীদের চেষ্টা হচ্ছে ভবিষ্যতে এ সব জলীয় উদ্ভিদ দিয়ে বায়োফুয়েল তৈরি৷ তবে এখন পর্যন্ত গবেষণা থেকে যা জানা যাচ্ছে, তাতে এভাবে খুব বেশি জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব হবে না৷
মৃদু বাতাস থেকে জ্বালানি উৎপাদন
দক্ষিণ আফ্রিকার এক উদ্ভাবক তৈরি করেছেন এই পন্থা৷ ট্রেন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের মতো জায়গায়, যেখানে ট্রেন এসে থামে কিংবা পাশ থেকে দ্রুত চলে যায়, সেখানে পাতলা এক ধরনের পাত বসিয়ে দিলেই হলো৷ এরপর ট্রেনের চলাচল থেকে পাওয়া মৃদু বাতাসকে কাজে লাগিয়ে সেগুলো তৈরি করবে জ্বালানি৷
কয়লার বদলে নারিকেল
বিশ্বের একটা বড় অংশে এখনো জ্বালানির মূল উৎস হিসেবে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে৷ আর এর ফলে বন উজাড় অব্যাহত রয়েছে৷ নারিকেলের খোলস এবং শাঁস এক্ষেত্রে বিকল্প হতে পারে৷ সাধারণ কাঠকয়লার চেয়ে নারিকেলের খোলস বেশিক্ষণ জ্বলে৷ বিশেষ করে কেনিয়া এবং কম্বোডিয়ায় জ্বালানি হিসেবে নারিকেলের ভবিষ্যত উৎস৷
মাছের আঁশ এবং কাঁটা
মাছ ফ্যাক্টরির ফেলে দেয়া মাছের আঁশ এবং কাঁটা হতে পারে বিকল্প জ্বালানির উৎস৷ এটা পরিবেশের জন্যও সহায়ক, কেননা আবর্জনা হিসেবে এগুলো ফেলে দেয়া হয়৷ হন্ডুরাস, ব্রাজিল এবং ভিয়েতনামে আঁশ এবং কাঁটা দিয়ে জ্বালানি তৈরির গবেষণা কিছুটা আগালেও পর্যাপ্ত অর্থাভাবে তা গতি পাচ্ছে না৷
ডেস্কো থেকে জ্বালানি
ডান্স ফ্লোরের নীচে একটা বিশেষ সারফেস বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব৷ ইতোমধ্যে এই নিয়ে গবেষণা বেশ খানিকটা এগিয়েছে৷ শুধু ডান্স ফ্লোর নয়, ফুটবল স্টেডিয়াম, মেট্রো স্টেশনের মতো যেসব স্থানে মানুষের চলাচল অনেক বেশি, সেসব স্থানে এই সারফেস বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে, যা দিয়ে কম-ভোল্টেজের বাতি জ্বালানো যাবে৷
রাস্তায় সোলার প্যানেল
হ্যাঁ, শুধু বাড়ির ছাদেই নয়, রাস্তার উপরও এভাবে ফটোভোল্টেইক সোলার প্যানেল বসানো সম্ভব৷ নেদারল্যান্ডসে ইতোমধ্যে সত্তর মিটার সোলার বাইক পথ তৈরি করা হয়েছে৷ আর ফ্রান্স এক হাজার কিলোমিটার রাস্তায় আগামী কয়েকবছরে সোলার প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে৷