প্রমাণ দিন, প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে আসুন জার্মানিতে
৮ আগস্ট ২০২০তবে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে আগামী সোমবার থেকে৷ এতে করে যুগলরা তাদের বন্ধু বা বান্ধবীর সঙ্গে কয়েকমাসের দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর এখন মিলিত হতে পারবেন৷ তবে এর সঙ্গে একটি শর্তও জুড়ে দিয়েছে জার্মান সরকার৷ তা হল, এই নারীপুরুষদের তাদের যুগলত্বের প্রমাণ দিতে হবে৷
মার্চে এই সিদ্ধান্ত নেবার পর থেকে ইন্টারনেটে যুগলরা তাদের বিচ্ছেদের করুণ ভিডিও, বার্তা এসব ছড়িয়ে দেন৷ এতে জার্মান সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রবল সমালোচনা শুরু হয়৷ এমনকি চাপ আসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও৷
এতসব চাপের মুখে অবশেষে নিষেধাজ্ঞা গুটিয়ে নিল তারা৷ এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে তৃতীয় কোন দেশে থাকা নারী-পুরুষরা তাদের প্রেমিক-প্রেমিকাকে দেখতে জার্মানি আসতে পারবেন৷
অবিবাহিত সঙ্গীদের মধ্যে যারা করোনায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কোন দেশে থাকেন, তারাও আসতে পারবেন৷ তবে তাদের বাধ্যতামূলক পরীক্ষা ও করোনা নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনের নিয়ম মানতে হবে৷ এসব দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও ইরান রয়েছে৷
আর লম্বা সময়ের যুগলত্বের প্রমাণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের কাছে আগে জার্মানির বাইরে একসাথে থাকার অথবা জার্মানিতে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাতের প্রমাণ দেখাতে হবে৷
এর বাইরে জার্মানিতে অবস্থানরত ব্যক্তি তার সঙ্গীকে একটি আনুষ্ঠানিক ভ্রমণ আমন্ত্রণ পাঠাবেন এবং যুগলকে একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর দিতে হবে যে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে৷
এছাড়া জার্মানির সবগুলো রাজ্যের নিজস্ব কিছু কোয়ারান্টিন ও অন্যান্য করোনা সংক্রান্ত বিধি রয়েছে৷ এই বিধিগুলোও মানতে হবে৷
এর আগে এই সিদ্ধান্তের পর ইন্টারনেটে এর সমালোচনা শুরু হয়৷ পরে ‘লাভ ইজ নট ট্যুরিজম' বা ‘ভালোবাসা মানে পর্যটন নয়' এমন একটি প্রচারণা শুরু হয়, যেখানে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন ভুক্তভোগী ও নেটিজেনরা৷ প্রতিবাদের জের ধরে সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এ বিষয়ে উদার হবার আহ্বান জানায়৷ ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস প্রথম এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়৷
জেডএ/এআই (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)
আমাদের এই ছবিঘরটি দেখেছেন কি?: