প্রফেসর ইউনূসকে অপসারণের আদেশ বৈধ : হাইকোর্ট
৮ মার্চ ২০১১এরপর এক প্রতিক্রিয়ায় ইউনূসের আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, নোবেল জয়ীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আজ বাংলাদশের মানুষের জন্য একটি দুঃখের দিন৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অবৈধ নোটিশকে আদালত আজ বৈধতা দিলো৷ গত কয়েকদিন শুনানির সময় আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম, আজ রিট খারিজের মধ্য দিয়ে তা সত্যি প্রমাণিত হলো৷'' বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে৷
বিচারপতি মো. মমতাজউদ্দিন আহমেদ ও গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ কিছুক্ষণ আগে রায় ঘোষণা করেন৷
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বুধবার প্রফেসর ইউনূসকে অপসারণের আদেশ দিয়েছিল৷ পরের দিন ঐ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ইউনূস৷ পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের ১২ জন পরিচালকের মধ্যে নয়জন একই দিনে একই বেঞ্চে আরেকটি রিট আবেদন করেন৷
আদালতের আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়ে ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘন করে ওই পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন৷
১৯৯৯ সালে প্রফেসর ইউনূসের বয়স ৬০ বছর উত্তীর্ণ হয়৷ ঐ বছর ব্যাংকের বোর্ড সভায় ইউনূসকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, আইনের দৃষ্টিতে তার কোনো ভিত্তি নেই বলেও উল্লেখ করেছে আদালত৷
বাংলাদেশ ব্যাংক ইউনূসকে অপসারণের যে আদেশ দিয়েছে আদালত তাকেও বৈধতা দিয়েছে৷
আদেশে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের অপসারণের আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার রাখে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম